|
|
|
|
দুই আইসি-র বদলি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর ও হলদিয়া |
বদলি হলেন মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার আইসি তুষার কর। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেওয়ার কথা পবিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পবিত্রবাবু এখন সিআইডিতে কর্মরত। ক’দিন আগেই তুষারবাবুর বদলির নির্দেশ আসে। কিছু দিন আগে সদর ব্লকের কনকাবতীতে অস্ত্র-কঙ্কাল উদ্ধারের তদন্তে গিয়ে নদী পারাপারের জন্য এক যুবকের পিঠে চাপতে দেখা গিয়েছিল তুষারবাবুকে। সেই ছবি সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়। এক জন অফিসারের জুতো খুলে নদী পেরোতে দ্বিধা নিয়ে শোরগোল পড়ে পুলিশ-মহলেও।
নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই কোতোয়ালির আইসি-র বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল। তাদের অভিযোগ ছিল, আইসি-র মদতেই ধেড়ুয়া, চাঁদরা, এনায়েতপুরে সশস্ত্র শিবির চালাচ্ছিল সিপিএম। ভোটের প্রচারে মেদিনীপুরে এসে যে দুই পুলিশ অফিসারের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁদের এক জন শালবনির ওসি কুশল বিশ্বাস ও কোতোয়ালির তুষার কর। ভোটের ফল-প্রকাশের পরেই কুশলবাবুকে ডিআইবি-তে বদলি করা হয়। বদলি হন নারায়ণগড় থানার ওসি আশিস বটব্যালও। এ বার বদলি হলেন তুষারবাবু।
অন্য দিকে, হলদিয়ার আইসি সন্দীপ সিংহরায়কে জেলা আদালতের ইন্সপেক্টর হিসাবে বদলি করা হয়েছে। এই সন্দীপ সিংহরায় লালগড় থানার দায়িত্বে থাকাকালীনই ২০০৮-এর নভেম্বরে মহিলা ও কিশোর-সহ সাধারণ মানুষের উপর প্রবল পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। শালবনিতে জিন্দলদের কারখানার উদ্বোধন ফেরত মুখ্যমন্ত্রী কনভয়ে বিস্ফোরণের সূত্রে তল্লাশির নামে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে তৈরি হয় ‘পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনগণের কমিটি’। কমিটির আন্দোলনে উত্তাল হয় জঙ্গলমহল। সন্দীপবাবুর অপসারণের দাবি প্রাথমিক ভাবে মানেনি তদানীন্তন সরকার। পরে তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরে পাঠানো হয়। থানার দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরানোর দাবি তোলে তৃণমূল। তা অবশ্য গ্রাহ্য হয়নি। রাজ্যে পালাবদলের পরে সেই সন্দীপ সিংহরায়কেও থানার দায়িত্ব থেকে সরতে হল। হলদিয়া থানায় তাঁর জায়গায় এসেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন। |
|
|
|
|
|