|
|
|
|
খরা ত্রাণের চাল এ বার ৭ দিনেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গত বছরের খরায় বরাদ্দ ত্রাণের চাল দীর্ঘ দিন পড়ে থাকার পরে বণ্টনে উদ্যোগী হল রাজ্যের নতুন সরকার। প্রতিটি জেলাকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন তৈরি থাকে। ৭ দিনের মধ্যেই বেনফেড ও ইসিএসসি জেলায় জেলায় চাল পৌঁছে দেবে। নির্দেশ পাওয়ার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন বিডিওদের সঙ্গে শুক্রবার ভিডিও সম্মেলনও করে। বিডিও-দের জানিয়ে দেওয়া হয়, শীঘ্রই খরা-ত্রাণের বরাদ্দ চাল জেলায় পৌঁছে যাবে। তা রাখার জন্য গুদামের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কী ভাবে বণ্টন করা হবে তা নিয়ে যেন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শুভাঞ্জন দাস বলেন, “ত্রাণের চাল পেলে গরিব মানুষ উপকৃত হবেন। রাজ্য সরকার দ্রুত বণ্টনের নির্দেশ দিয়েছে। আমরাও তা কার্যকরী করার জন্য বিডিও-দের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।”
২০১০ সালে বর্ষায় একেবারেই বৃষ্টি হয়নি। ফলে রাজ্যের ১১টি জেলা খরা কবলিত হয়। এই ১১টি জেলার গরিব মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করে সরকার। বিপিএল তালিকাভুক্ত গরিব মানুষদের জন্য ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৫১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করে কেন্দ্র। বিপিএল পরিবারভুক্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য মাথাপিছু ১২ কেজি এবং ছোটদের জন্য ৬ কেজি চাল বরাদ্দ হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৭ হাজার ২৪৫ মেট্রিক টন চাল। বেনফেড ও ইসিএসসি-র এই চাল দেওয়ার কথা। সুষ্ঠু বণ্টনের লক্ষ্যেই শুক্রবার মহকুমাশাসক ও বিডিও-দের সঙ্গে ভিডিও সম্মেলন করেন জেলার পদস্থ কর্তারা। তাতে উপস্থিত ছিলেন ইসিএসসি এবং খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরাও। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ দিনের মধ্যেই জেলায় চাল পৌঁছে যাবে। এই মাসের মধ্যেই প্রতিটি মানুষের কাছে সেই চাল
যাতে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। |
|
|
|
|
|