সিপি-টিএমসিপি সংঘর্ষ কেশপুরে
কেশপুর কলেজে ছাত্র সংঘর্ষ। তা-ও আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে ছাত্র পরিষদের! ঘটনায় দু’পক্ষের কয়েক জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। এই ক’দিন আগে পর্যন্ত কেশপুর ছিল সিপিএমের ‘দুর্গ’। সেখানে কংগ্রেস-তৃণমূলের কোনও প্রভাবই ছিল না। তাদের ছাত্র সংগঠনের তো নয়ই। কিন্তু ‘পরিবর্তিত’ পরিস্থিতিতে এখন সেখানেই একঘরে এসএফআই। বদলে ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রভাব শুধু বাড়ছেই না, দু’পক্ষ হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ছে!
গত বুধবার থেকে কেশপুর কলেজে ফর্ম দেওয়া শুরু হয়েছে। দু’দিনের মাথায় সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন পুলিশ-প্রশাসন। উদ্বেগে রয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষও। অধ্যক্ষ সুশান্ত দোলইয়ের বক্তব্য, “এমন ঘটনা যাতে ফের না-ঘটে সে দিকে সকলেরই নজর রাখা উচিত।” এখনও পর্যন্ত কেশপুর কলেজে কোনও দিনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। কারণ, এসএফআই ছাড়া এখানে অন্য কোনও সংগঠনের ইউনিটই ছিল না। কিন্তু এ বার কলেজ নির্বাচন হবে বলেই ধরে নিয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলো। তাই প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই তারা তৎপর। এসএফআইয়ের থেকেও ‘অতি’-তৎপর ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার ফর্ম দেওয়া চলাকালীনই এই দুই ছাত্র সংগঠনের সমর্থকেরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। টেন্ট করার জায়গা নিয়েই বচসার সূত্রপাত। সেখান থেকে সংঘর্ষ। দু’পক্ষেরই কয়েক জন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কেশপুরের ঘটনায় বিড়ম্বনা বেড়েছে নতুন শাসকদের শিবিরে। কংগ্রেস, তৃণমূল- দু’পক্ষই বলছে, এ দিনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। বিশেষ করে কেশপুরের মতো এলাকায়। যেখানে দীর্ঘ দিন সিপিএমের সন্ত্রাস চলেছে। রাজ্যে পালাবদলের পর সবে ‘স্বস্তি’ পেয়েছেন মানুষ। ছাত্র পরিষদের জেলা নেতা মহম্মদ সইফুল্লা বলেন, “ওরাই (তৃণমূল) প্রথমে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা করে। সেখান থেকে গোলমালের সূত্রপাত। আমাদের দুই কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছে।” জবাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা চেয়ারম্যান রমা গিরি বলেন, “শুনেছি ভুল বোঝাবুঝির ফলেই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা তো জোটসঙ্গী। কোথাও কোনও সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমেই তা মিটিয়ে নিতে হবে।” অন্য দিকে, এই ঘটনার কথা তুলে ধরেই শাসকপক্ষকে বিঁধছে এসএফআই। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডার মন্তব্য, “শুধু কেশপুরেই নয়, জেলার সব কলেজেই ওরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাইছে। গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানতে চাইছে।” পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।
Previous Story Medinipur Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.