এর পরে আর কাজ এগোয়নি। নির্মাণকারী সংস্থার দাবি, বিধাননগর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে লোহা, রাসায়নিক, বালি, পাথর-সহ ৩০ লক্ষ টাকার মাল পড়ে রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিধাননগর পুরকর্তৃপক্ষ তাঁদের কোনও অর্থ দেননি। যদিও পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, আগের বামপুরবোর্ড কাজ শুরু করিয়ে কোনও অর্থ দিয়ে যায়নি। অর্থাভাবের মধ্য দিয়ে কাজ চলছে। তা-ই কিছুটা সময় লাগছে।
অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরোধী দল বামফ্রন্ট। তাদের অভিযোগ, নতুন পুরবোর্ড আগের বোর্ডের আমলে শুরু হওয়া কয়েকটি প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। সুইমিং পুল তার মধ্যে একটি। পুরনির্বাচন থাকায় পুরনো বোর্ড অর্থ দিতে পারেনি। নতুন পুরবোর্ডের উপরেই সে দায় বর্তায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার মালিক শুভাশিস মিশ্র বলেন, “আজ পর্যন্ত কোনও টাকা পেলাম না। গত পুরবোর্ডের আমলে ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছি। তখন থেকে কাজ চলছে। কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি। দামী মালপত্র কেনা হয়েছে। অসহায় অবস্থা। এ অবস্থায় কাজ এগনো মুশকিল।”
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (ক্রীড়া) তৃণমূলের কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “বামপুরবোর্ডের সময় কাজ শুরু হয়েছিল। তারা কোনও অর্থ দেয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের কারণে ওই সংস্থাকে অর্থ দেওয়া যায়নি। তবে ইতিমধ্যেই স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে কিছু অর্থ দিয়েছেন। ওই সংস্থা আরও টাকা চেয়েছে। আমরা আরও কিছু অর্থ বরাদ্দের চিন্তাভাবনা করছি। ফের কাজ শুরু করতে বলেছি।”
|