যাত্রী ছাউনি আছে। কিন্তু যাত্রী দাঁড়ান না। কারণ, দখলদারি। ভিআইপি রোডের কেষ্টপুর মোড়ের যাত্রী ছাউনিগুলির এখন এই অবস্থা। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, দখলের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস ধরতে হয়। প্রশাসনের কোনও নজর নেই। কেষ্টপুরে ভিআইপি রোডের দু’টি লেনের ধারে যাত্রী ছাউনি রয়েছে।
নিত্যযাত্রীদের দাঁড়ানোর কথা ওই ছাউনির ভিতরে। কিন্তু অধিকাংশ যাত্রী অনেকটা এগিয়ে এসে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাসগুলি যাত্রী ছাউনির থেকে আগে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে বা নামায়। ফলে যানজট হয়। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রী ছাউনি দু’টি হোটেল ও ভবঘুরেদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। |
ছাউনির পিছনে বিদ্যুৎ সরবরাহের খুঁটি ঘিরে ঝুপড়ি তৈরি হয়েছে। পথচারীদের অভিযোগ, উল্টোডাঙাগামী লেনের ধারের যাত্রী ছাউনিটি কার্যত হোটেলে পরিণত হয়েছে। প্রতি সন্ধ্যায় এই ছাউনিতে বসে অস্থায়ী মোমোর দোকান। বসে খাওয়ার জন্য টেবিল, বেঞ্চ ও চেয়ার পাতা আছে। অনেকে সেখানে বসে আড্ডাও মারেন। কেউ কেউ আবার সাইকেল ও মোটরবাইক ছাউনিতে রেখেই চলে যান। নিত্যযাত্রী সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “গাড়ি কোথায় দাঁড়াবে তা বোঝা যায় না। দৌড়ে গিয়ে বাসে উঠতে হয়। তাই ছাউনিতে না দাঁড়িয়ে রাস্তাই দাঁড়াই। তবে রোদ-বৃষ্টিতে ছাউনিটি অত্যন্ত দরকারি।” বাগুইআটি ট্রাফিকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বললেন, “যাত্রী ছাউনির দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের হাতে নেই।” পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এজেন্সি ও পূর্ত দফতরের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে ছাউনি দু’টি তৈরি হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “কেষ্টপুরের যাত্রী ছাউনি দখল মুক্ত করার দায়িত্ব পূর্ত দফতরকেই নিতে হবে।” পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএমের তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ ক্ষেত্রে পুরসভার কিছু করার নেই। পূর্ত দফতরকেই দেখতে হবে।” পূর্ত দফতরের সড়ক বিভাগের বারাসত হাইওয়ে ডিভিশন ১-এর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস ঘোষ বলেন, “কী ভাবে দখল মুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা চলছে।” |