|
|
|
|
৬০ ক্রীড়াবিদকে সংবর্ধনা রাজ্যর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মঞ্চের রং সবুজপরিবর্তন ও মাঠের প্রতীক। আমন্ত্রণ মন্ত্রের রং নীললক্ষ্য আকাশছোঁয়া। এই আবহে ক্রীড়াবিদদের নিয়ে তাদের প্রথম সরকারি অনুষ্ঠানেই একসঙ্গে ৬০ জনকে আর্থিক পুরস্কার তুলে দিচ্ছে নতুন রাজ্য সরকার। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ১৯ জুন সন্ধ্যায় সন্তোষ ট্রফি ও জাতীয় গেমসে জয়ী বাংলা ফুটবল দলের পাশাপাশি জাতীয় গেমসে পদকজয়ী অন্যদেরও পুরস্কৃত করা হচ্ছে। পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে চার পর্বতারোহীকেও। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র শুক্রবার বললেন, “বাংলার জন্য যাঁরা সম্মান আনবেন তাঁকেই সম্মানিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেটাই পালন করছে ক্রীড়া দফতর।”
ভারতীয় ক্রীড়ার সর্বোচ্চ টুর্নামেন্ট জাতীয় গেমসকে কখনও সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি বামফ্রন্ট সরকার। গুয়াহাটিতে সোনাজয়ীদের দেওয়া হয়েছিল গড়ে পাঁচ হাজার টাকা করে। টেবল টেনিস তারকা সৌরভ চক্রবর্তী সোনা-রূপো-ব্রোঞ্জ-সহ চারটি পদকের জন্য পেয়েছিলেন মাত্র ১২ হাজার টাকা। এ বার ঝাড়খন্ডে গেমসের সোনাজয়ীদের দেওয়া হচ্ছে পঞ্চাশ হাজার টাকা। রুপোজয়ীদের পঁচিশ হাজার এবং ব্রোঞ্জজয়ীদের দশ হাজার টাকা। সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলের প্রত্যেকেই পাচ্ছেন পঞ্চাশ হাজার টাকা করে। গতবারের মতোই। চার পর্বতারোহির হাতেও দেওয়া হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে। ক্রীড়ামন্ত্রী বললেন, “মঞ্চ তৈরি হবে পরিবর্তনের সবুজ আর মাঠের সবুজ মিলিয়ে। আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত ক্রীড়া সংগঠন ও নামী ক্রীড়াবিদদেরও।” তাঁর সংযোজন, “আমরা অনুষ্ঠানের যে কার্ড করেছি সেটা অবশ্য নীল। আমরা চাইছি আগামী দিনে আমাদের ক্রীড়াবিদরা সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছন। অনুষ্ঠানের থিম তাই, ‘স্কাই ইজ দ্য লিমিট’।”
গত বছর রবীন্দ্রসদনে সন্তোষ ট্রফি জয়ী সাব্বির আলি-ডেনসন দেবদাসদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে অবশ্য ইন্ডোরে রাজ্য সরকারের প্রথম ক্রীড়া অনুষ্ঠানে নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা কম। মমতা না এলে পুরস্কার তুলে দেবেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন নচিকেতা চক্রবর্তী ও ভূমি। এ দিকে রাজ্য ব্যডমিন্টন সংস্থার কিছু কর্তা এ দিন কোর্ট তৈরির জন্য রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে ২৩ কাঠা জমি চেয়েছেন। ক্রীড়ামন্ত্রী বললেন, “আমি কাউকে জমি দেব বলিনি। ওদের বলেছি, কোর্ট নিশ্চয়ই করা প্রয়োজন। সেটা কোথায় করা যায় তা নিয়ে আমরা ভাবনাচিন্তা করব।” |
|
|
|
|
|