|
|
|
|
চুনী ফিরলেও তাঁর চেয়ার নিয়ে ধোঁয়াশা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বামফ্রন্ট সরকারের পতনের খবর পেয়েই সরকারি গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন, প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর নিযুক্ত বলে নয়া জমানায় আর কাজ করবেন না।
ওই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে চুনী গোস্বামী আবার রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদের অবৈতনিক পরামর্শদাতার পদে। “এরা আমাকে একই গুরুত্ব দিয়ে রাখতে চায় বলেই থাকছি” বলে দিলেন চুনী। আবার যিনি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁর ঘরে। বললেন, “আমি কিন্তু পদত্যাগপত্র পাঠাইনি। তার আগেই আমায় অনুরোধ করা হয় থেকে যেতে। আমি থাকছি।” বাম জমানার শেষে বিভিন্ন কমিটি থেকে গণ পদত্যাগ করেন পুরনো সরকার-ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টরা। চুনী সেই দলে নাম লেখালেন না। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র অবশ্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চেয়ারম্যান নরেন দে’র জায়গায় আমিই ক্রীড়াপর্ষদের চেয়ারম্যান হচ্ছি। বাকি সব কমিটি ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কাউকে কোনও পদে থাকার জন্য আমি কিন্তু বলিনি।” চুনীর ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই প্রশ্ন থাকছে।
বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দিকে চুনীর কোনও কাজই ছিল না। ৬ জন স্থায়ী কোচকে নেওয়া হয়েছিল অল্প দিনের কোচিং প্রকল্পের জন্য। ২৬ জনকে স্থায়ী প্রকল্পের জন্য। তাঁরাও যেমন কাজ পেতেন না, চুনীরও অবস্থা ছিল তাই।
নতুন পরিস্থিতিতে তিনি যেন নড়েচড়ে বসেছেন। নতুন মন্ত্রী, নতুন আমলাদের তৎপরতা দেখে বলেই ফেললেন “ভাল লাগছে”। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আপাতত চুনীর মাথায় দুটি প্রকল্পের কথা ঘুরছে। এক, রাজারহাটে সাইয়ের ধাঁচে স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি করা। “সেখানে কয়েকটা খেলা বেছে শুধু বাঙালি ছেলেদের তৈরির চেষ্টা করা হোক। নতুন করে পরিকাঠামো করা যেতেই পারে রাজারহাটে।” দুই, কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্চায়েত যুব বিভাগের জন্য যে পাইকা প্রকল্প চালু করেছিল, সেটি আরও কার্যকর করা। এই প্রকল্পে তরুণ ক্রীড়াবিদ তুলে আনার জন্য ৭৫ ভাগ টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার, ২৫ ভাগ রাজ্য সরকার। চুনী স্বীকার করলেন, “বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দেড় বছর এটা চালু হয়েছিল। এটায় তেমন কাজ হয়নি। তবে নতুন সরকার অনেক সক্রিয় ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।”
পরিস্থিতি সবই পাল্টে গিয়েছে। |
|
|
|
|
|