ফুটবলের শোক সামলে ক্রিকেটের দ্বিমুকুট |
ফের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফুটবল মাঠে ট্রফির খরা চললে কী হবে, ক্রিকেটের বাইশ গজে সাত দিনে দুটো ট্রফি জিতল মোহনবাগান। এ এন ঘোষের পর এ বার জে সি মুখার্জি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টও জিতল তারা। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এ এন ঘোষ সেমিফাইনাল জেতার পিছনে বৃষ্টির আশীর্বাদ কিছুটা থাকলেও শুক্রবারের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে ভাল খেলে জিতল মোহনবাগান।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালার অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ১৭৮-২ তোলে মোহনবাগান। মাত্র ৫০ বলে করা ৮৬ রানের মধ্যে অভিষেক মেরেছেন ন’টা বাউন্ডারি এবং তিনটে ছয়। শুভময় দাস ৩৭ এবং দেবব্রত দাস ১৯ বলে ৩৬ করেছেন। জিতে উঠে অভিষেক বলছিলেন, “এই মরসুমে অনেক বার ৩০-৪০ রানে আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। একটা বড় ইনিংসের অপেক্ষায় ছিলাম।” |
|
ফুটবলে ট্রফির খরা। কিন্তু ক্রিকেটে পর পর সাফল্য। শুক্রবার ইডেনে চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান।-নিজস্ব চিত্র |
রান তাড়া করতে নেমে ১৫৮-৬-এ আটকে যায় ইস্টবেঙ্গলের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান করেন ঋতম পোড়েল (৭২ আহত অবসৃত)।
ফুটবল মরসুমে যেখানে ইস্টবেঙ্গলকে এক বারও হারাতে পারেনি মোহনবাগান, ক্রিকেটে সেটা দু’-দু’বার করে দেখালেন অভিষেকরা। “আমাদের পারফরম্যান্সের পিছনে অধিনায়ক সঞ্জীব সান্যালের খুব বড় অবদান রয়েছে। অভিষেক আর শুভময় ভাল খেলেছে। শুভময় অসুস্থতা নিয়ে আজ খেলেছে। কাল পর্যন্ত জানতাম ও খেলতে পারবে না। এ ছাড়াও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই,” ম্যাচের পর বললেন মোহন-কোচ পলাশ নন্দী। অধিনায়ক সঞ্জীব আবার ট্রফি জয়ের পিছনে কোচ এবং ক্লাবের ক্রিকেট সচিব সম্রাট মুখোপাধ্যায়ের অবদানের কথা বললেন।
মরসুমের পরের ম্যাচগুলোয় মোহনবাগানকে হারানো তাঁদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ, জানিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক শিবসাগর সিংহ। ফাইনালে হারের জন্য খারাপ বোলিংকে দুষে তিনি বলে দিলেন, তাঁরা ১৫-২০ বাড়তি রান দিয়ে ফেলেছিলেন। |
|