এক মঞ্চে মারাদোনা-মল্লিকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক জন ফুটবলের মহাতারকা। অন্য জন বলিউডি-লাস্যময়তার অন্যতম সেরা আকর্ষণ।
এমন দু’জনকে এক মঞ্চে পাশাপাশি দেখতে পাওয়ার জন্য মানুষ উন্মাদের মতো আচরণ করবেই। তা-ও যদি এ হেন ঝলমলে এক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাটা ভারতীয়রা করে! হলও ঠিক তাই।
দুবাইয়ের কারামা সেন্টারে একটা গয়নার দোকানের মধ্যে তৈরি হয়েছিল মঞ্চ। সেই মঞ্চেই পাশাপাশি দাঁড় করানোর পরিকল্পনা ছিল দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা ও মল্লিকা শেরাওয়াতকে। নতুন এক গুচ্ছ গয়না বাজারে আনার বিজ্ঞাপনে। উদ্যোগটা দুবাইয়ের প্রবাসী ভারতীয়দের (সবাই মালয়ালি)। স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসাবে যাঁদের চেনে গোটা দুনিয়া। আফসোসের ব্যাপার, দুই ‘ম’-ই এলেন! কিন্তু এক জন আগে। অন্য জন, প্রথম জন চলে যাওয়ার পরে।
দুবাইয়ের আল ওয়াসল ক্লাবে সদ্য কোচের চাকরি নিয়ে আসা মারাদোনা পৌঁছলেন আগে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে ব্যাপক হইচইয়ে হকচকিয়ে সামান্য ক্ষণ থেকেই চলে গেলেন। শুধু ছবি উঠল। মারাদোনা চেম্মানুর জুয়েলার্সের গয়না হাতে নিয়ে দু’একটা ভাল কথা বলে কার্যত পালালেন।
রাস্তায় দাঁড়ানোর মানুষের দৃষ্টি তখন যেন প্রায় দোকানের কাচ ভেদ করে ফেলছে। ভিড় সামলাতে হিমশিম অবস্থা হচ্ছে পুলিশের। |
|
|
অল্পের জন্য দেখা হল না। |
|
বেচারা মল্লিকা! মারাদোনার জন্য তৈরি হওয়া জটলায় তাঁর গাড়ি গেল আটকে। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তোলা হল না। দোকানের পক্ষ থেকে মুম্বই-নায়িকা পেলেন মহামূল্যবান সব গয়না। কিন্তু বেরোতে হল এক রাশ অতৃপ্তি নিয়ে। উপরি হিসাবে মারাদোনার চুম্বন পেলেন না। পেলেন না খুব কম হলেও অন্তত একটা হাল্কা আলিঙ্গন। আর তেমন মাহেন্দ্রক্ষণ চাক্ষুষ গিলে নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল মারাত্মক গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার মানুষ।
মল্লিকা আসার আগেই প্রস্থান ঘটল মারাদোনার। ফুটবলের বিতর্কিত রাজার হাতে অত সময়ও ছিল না। নতুন ক্লাবই এখন তাঁর ধ্যানজ্ঞান! এত দিন এই ক্লাবটি গ্রীষ্মে অনুশীলন করত ইউরোপের কোনও দেশে। মারাদোনা বলে দিয়েছেন, ও সব চলবে না। খাটতে হবে গরমেই। এখানেই আল ওহালা ক্লাবে খেলেন ইতালির বিশ্বজয়ী ফুটবলার কানাভারো। কিন্তু মারাদোনার গ্ল্যামারের কাছে সবই ম্লান। তাঁর ক্লাবকে টেক্কা দিতে কানাভারোরা নাকি রোনাল্ডিনহোকে আনার তোড়জোড় চালাচ্ছেন! স্বভাবতই নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েই ভাবছেন বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরা চরিত্র। মল্লিকা তাঁর কাছে অচেনাই থেকে গেলেন। আপাতত মল্লিকার টুইটারে তাই শুধুই বিশ্বের ‘সবথেকে শক্তিশালী রাজনীতিক’ বারাক ওবামা (এই মার্চে দু’জনের আলাপ হয়েছে হোয়াইট হাউসের এক ডিনারে)। কারণ দিয়েগোকে নিয়ে বাজার কাঁপানোর সুযোগ একটুর জন্য তাঁর হাত ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে। |
|