|
|
|
|
নামেই সিগন্যাল চালু, তোয়াক্কা নেই কারও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
নিয়ম মেনেই কাজ করছে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল। তবে একেবারেই নিজের মতো। গাড়ি চালকরা কেউ তার তোয়াক্কা করছেন না। ফলে, লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করা যেন সার।
খড়্গপুর শহরের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হয়েছে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। খড়্গপুর লোকাল থানার সামনেই ইন্দা মোড়ে ও পুরাতন বাজার মোড়ে। দু’মাস পেরিয়ে গেল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থার। এখনও এই সিগন্যাল ব্যবস্থার অবশ্য আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি। নির্বাচন-বিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কায় এপ্রিল ও মে মাসে উদ্বোধন করা যায়নি। ফলে ট্রাফিক পুলিশের হাতেও তা তুলে দেওয়া যায়নি। ফলে নিয়ম যাঁদের মানানোর দায়িত্ব, সেই ট্রাফিক পুলিশও নেই সিগন্যালে। আর কত দিন এ ভাবে চলবে? খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী অবশ্য বলেন, “এ বিষয়ে শীঘ্রই পুরসভা ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। যাতে নিয়ম মানা হয় তার ব্যবস্থা করা হবে।” যাঁরা সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করেছেন সেই খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধান জহর পাল বলেন, “নির্বাচনের কারণে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা যায়নি। ট্রাফিক পুলিশের হাতেও তুলে দেওয়া যায়নি। তবে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে একটা আলোচনা হয়েছে। কয়েক জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাতে এই ব্যবস্থা কার্যকরী করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব সেই প্রক্রিয়া চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।” |
|
খড়্গপুর শহরের ইন্দা মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে নজর নেই কারও। ছবি তুলেছেন রামপ্রসাদ সাউ। |
খড়্গপুর শহর বেশ বিস্তৃত। এই বৃহৎ রেলশহরে বহু ভাষাভাষী মানুষের বাস। গ্রাম, গ্রামান্তরের মানুষও প্রতি দিন এই শহরে আসেন নানা কাজে। বহু যানবাহন চলাচল করে। বাসের সংখ্যাও অনেক। দিঘা, ঝাড়গ্রাম, দাঁতন-সোনাকনিয়া, হলদিয়া-- বিভিন্ন রুটের বাস খড়্গপুর হয়েই যাতায়াত করে। প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকেই। বিশেষত, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আশঙ্কা বেশি। এক দিক দিয়ে হুস করে বাস বেরিয়ে যাচ্ছে তো উল্টো দিক দিক দিয়ে ছুটে আসছে মোটরবাইক। মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আর এই সমস্যা দূর করতেই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল চালুর উদ্যোগ নেয় পুরসভা। প্রথমে ইন্দা ও পুরাতন বাজারে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কারণ, এ গুলিই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তা চালুও হয়েছে। কিন্তু কার্যকরী হচ্ছে না।
এর পর কৌশল্যা ও ঝাপেটাপুরে সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। তার পরেই রয়েছে বড়বাত্তি, গিরিময়দান ও সাহাচক। এ ভাবেই ধীরে ধীরে খড়্গপুর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। কিন্তু শুরুটা যে ভাবে চলছে, শেষ পর্যন্ত তা কি সত্যিই শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে? এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। পুরপ্রধানের অবশ্য দাবি, “নির্বাচনের কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এর পর থেকে আর সমস্যা থাকবে না।” |
|
|
|
|
|