|
|
|
|
হাতির হানায় ক্ষতি বাঁকাদহ-পাত্রসায়রে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর ও পাত্রসায়র |
খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়া হাতিদের তাণ্ডব চলছেই। এক দাঁতালের হানায় ক্ষতিগ্রস্থ হল বাঁকুড়ার বাঁকাদহ রেঞ্জের বড়ামারা গ্রামের একটি খাবার হোটেল। অন্য দিকে, পাত্রসায়রে অন্য একটি হাতি একটি গরুকে পিষে মেরে দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১টা নাগাদ পিয়ারডোবা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দাঁতালটি চড়াও হয় বড়ামারা গ্রামের একটি লাইন হোটেলে। ভেঙে দেয় হোটেলের পাঁচিল। ভিতরে রাখা এক বস্তা আলু খেয়ে ছড়িয়ে নষ্ট করে। ভাঙচুর করে হোটেলের রান্নার সরঞ্জাম। কোনও রকমে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচান হোটেল কর্মীরা। খবর পেয়ে বনকর্মীরা সেখানে গিয়ে পটকা ফাটিয়ে হাতিটিকে জঙ্গলে সরিয়ে দেন। ক্ষতিগ্রস্থ হোটেল মালিক বিশ্বজিৎ কর্মকারের কথায়, “কর্মীরা প্রাণে বেঁচেছেন। কিন্তু, যা আর্থিক ক্ষতি হয়ে গেল তা কাটিয়ে উঠব কী করে বুঝতে পারছি না।” তাঁর আর্তি, “এই ভাবে লোকালয়ে হাতির হামলা চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে পড়বে। আশপাশে থাকা হাতিগুলিকে দ্রুত সরাবার আবেদন জানাচ্ছি।” বাঁকাদহ রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষ বলেন, “গভীর রাতে জঙ্গল থেকে ওই হাতিটি খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিল। তাকে সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গলে পাঠানো হয়। ভবিষ্যতে হাতিটি যাতে এই এলাকায় না আসে আমরা নজর রাখব। ক্ষতিগ্রস্থকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” |
|
বাঁকাদহে শুভ্র মিত্রের তোলা ছবি। |
অন্য দিকে, এক ‘রেসিডেন্ট’ হাতি পাত্রসায়রের তাজ্জব গ্রামে ঢুকে এ দিন সকালে একটি গরুকে সামনে পেয়ে পিষে মারে। হাতিটি পাত্রসায়র বাইপাস এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে। পরে বনকর্মীরা খবর পেয়ে হাতিটিকে পাত্রসায়র জঙ্গলে পাঠিয়ে দেন।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিটি সোনামুখী ও বিষ্ণুপুরের বনাঞ্চলের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে। গত বুধবার দলমার ১৫টি হাতির একটি দলকে বাঁকাদহের জঙ্গল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার জঙ্গলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, বৃহস্পতিবার রাতে ওই দলটি পুনরায় বাঁকাদহের জঙ্গলে ফিরে আসে। বাঁকাদহের রেঞ্জার বলেন, “রাতেই দলটিকে ফের গড়বেতায় পাঠানো হয়। হাতিগুলি আর যাতে ফিরে না আসে, সে দিকে আমাদের নজর রয়েছে।” |
|
|
|
|
|