রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, নারায়ণ বিশ্বাসের মতো শিল্পীরা নৌকোয় নদী-ভিত্তিক গানের মাধ্যমে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টা চালান। মাইকে প্রচারের মাধ্যমেও মানুষের কাছে আবেদন জানানো হয়, যাতে তাঁরা নিজেদের স্বার্থে নদীকে ব্যবহার না করেন। নোংরা আবর্জনা নদীতে না ফেলেন।
নাব্যতা হারিয়ে ইছামতী এখন মৃতপ্রায়। পাশাপাশি জলদূষণের ফলে ওই জল এখন মানুষ রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারেন না। দীর্ঘ দিন ধরেই মানুষ বাড়ির আবর্জনা নদীতে ফেলেন। বর্তমানে নদীর জল গাঢ় সবুজ হয়ে গিয়েছে। বাসিন্দারা জানালেন, নদীর জলের এমন রঙ তাঁরা বহু দিন দেখেননি। নদীতে স্নান করলে চর্মরোগ হচ্ছে। বর্তমানে গাইঘাটার বর্ণবেড়িয়া থেকে কালাঞ্চি সেতু পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে পলি তুলে যৌথ নদী-সীমান্তে সংস্কারের কাজ চলছে। পাশাপাশি সংস্কার হয়ে যাওয়া এলাকা-সহ বিস্তীর্ণ নদীপথে কোমর, ভেচাল দেওয়া হয়েছে। ফলে নদীর স্রোত বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সুভাষবাবু বলেন, “মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া নদীকে বাঁচানো যাবে না। সে কারণে আমাদের এই উদ্যোগ। নদীর জল সংগ্রহ করে আমরা রাজ্যের পরিবেশ ভবনে পাঠিয়েছি। নদীর এমন রঙ আমরা অতীতে দেখিনি।” মহকুমাশাসক জানান, পুরসভাকে বলা হয়েছে, জল সংগ্রহ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরে পাঠানোর জন্য।
|