|
|
|
|
কেন্দ্রে সরকারেই রইল ডিএমকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
যত গর্জাল, তত বর্ষাল না ডিএমকে!
বরং আজ দলের জরুরি বৈঠকের পর ডিএমকে প্রধান মুথুভেল করুণানিধি জানালেন, “কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আমার কোনও বক্তব্য নেই। টু-জি মামলায় কংগ্রেস যে সাহায্য করছে না, তা নিয়েও আমি হতাশ নই।”
অথচ গত বুধবার করুণানিধি দলের ‘জরুরি বৈঠক’ ডাকার পর থেকেই ডিএমকে সূত্রে বলা হচ্ছিল, এ রাজার পরে এখন দয়ানিধি মারানকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর যে তৎপরতা শুরু হয়েছে, তাতে কলাইনার বেশ অসন্তুষ্ট। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ডিএমকে-র মন্ত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার ভাবনাও করুণার রয়েছে।
কিন্তু আজ চেন্নাইয়ে দলের সদর দফতরে আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠকের পরে ডিএমকে নেতৃত্ব শুধু মাত্র সিবিআইয়ের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়েই সরব হলেন! সেই সঙ্গে ফের জানিয়ে দেওয়া হল, টু-জি মামলার আইনি মোকাবিলাই করবে ডিএমকে। এমনকী বৈঠকের পরে করুণানিধি এ-ও বললেন, দয়ানিধি মারানের ইস্তফা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার জবাব দয়ানিধিই দেবেন। এ দিন সকালেই
সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন করুণানিধি-কন্যা কানিমোজি।
রাজনৈতিক সূত্রে বলা হচ্ছে, করুণানিধি পুত্র আলাগিরি-সহ ডিএমকে-র একাংশ দলের মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই কেন্দ্র থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা যাবে না। কারণ, জয়ললিতা যে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ শুরু করেছেন, তাতে কেন্দ্রের ‘ঢাল’টুকু না থাকলে ডিএমকে নেতারা ‘অরক্ষিত’ হয়ে পড়বেন।
কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, ডিএমকে-র আজকের বৈঠক নিয়ে দলের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও সনিয়া গাঁধী এরই মাঝে ছুটি কাটাতে যাওয়ায় স্পষ্ট যে, ডিএমকে শীর্ষ স্তরের সঙ্গে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছিল। কোনও সঙ্কটের পরিস্থিতি থাকলে সনিয়া নিশ্চয় ছুটি কাটাতে যেতেন না।
এই পরিস্থিতিতে জয়ললিতা দিল্লি সফরে আসতে পারেন বলে খবর। কংগ্রেসের একাংশ নেতার মতে, এটাও ডিএমকে শিবিরে ভয়ের কারণ হতে পারে। জয়ললিতা যোজনা কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, এই সব সৌজন্য সাক্ষাত হলেও জয়ললিতা তাঁর তাস এখনই খেলবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত ডিএমকে-র সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক রয়েছে, ততক্ষণ কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও ঘনিষ্ঠতা বাড়াবেন না তিনি। আগামী বছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি দেখেই জয়ললিতা পদক্ষেপ করবেন। |
|
|
|
|
|