|
|
|
|
বড়ো জঙ্গিদের সঙ্গে কথা বলবেন গগৈ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
এই মাসের মধ্যেই এনডিএফবির রঞ্জন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন তরুণ গগৈ। তৃতীয়বার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর, মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানালেন তিনি। সেই সঙ্গে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ও কর্মসংস্থানের আশ্বাসও দিলেন।
গগৈ জানান, এনডিএফবির রঞ্জনপন্থীদের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলতি মাসের ভিতরেই গগৈয়ের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। গগৈ বলেন, “আমার আপত্তি নেই। আমি এই মাসের মধ্যেই এনডিএফবির সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারি। তবে তার মানেই শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ভাবা ভুল। এটি কেবল প্রাথমিক সাক্ষাৎ।” আলফা, ডিএইচডির সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিলেও গগৈ জানান, কেন্দ্রীয় মধ্যস্থতাকারী পি সি হালদার এই নিয়ে সরকারিভাবে বিশদ কিছুই রাজ্য সরকারকে জানাননি। গগৈ বলেন, “আলফার সঙ্গে সরকারের আনুষ্ঠানিক সংঘর্ষবিরতিও হয়নি। কেবল পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আলফা হিংসা বন্ধ রেখেছে। রাজ্য পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীও অভিযান স্থগিত রেখেছে।” আলফার সংগ্রামপন্থী সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া এখনও সংগ্রামের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তরুণ গগৈ বলেন, “পরেশ বরুয়ার
সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে আলোচনার টেবিলে তাঁকেও নিয়ে আসতে আমরা আগ্রহী।”
ডিএইচডি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল, আলফার সঙ্গে সরকার মধুর ব্যবহার করছে। আলফা নেতাদের মুক্তি দিয়ে নিজগৃহে থাকা ও ইচ্ছামতো ঘোরার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। অথচ ব্ল্যাক উইডো প্রধান জুয়েল গার্লোসা ও সেনাধ্যক্ষ নিরঞ্জন হোজাই এখনও কারাবন্দী। তাদের মুক্তির দাবি জানায় ডিমাসা জঙ্গি সংগঠন। গগৈ বলেন, “ওঁদের জামিনের ব্যাপারে আদালত যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। আমি জামিনের বা শান্তি আলোচনার বিরোধী নই। তবে আদালতকে আমি চাপ দিতে পারি না।” |
|
|
|
|
|