|
|
|
|
দেবানন্দ-নীতীশ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে |
বিল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল |
অত্রি মিত্র • পটনা |
রাজ্যপাল দেবানন্দ কুয়াঁরের সঙ্গে বিহার সরকারের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এল।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার বিহার সরকারের ‘প্রচেষ্টা’ নিয়ে এর আগেও পরোক্ষে আপত্তি জানিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দেবানন্দ। এ বার ফের বিহার বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংক্রান্ত বিলটি ফেরত পাঠিয়ে সেই বিতর্ককে আরও উস্কে দিলেন তিনি। এর আগে বিহার বিধানসভায় অনুমোদিত পটনা বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একটি সংশোধনী বিলকে অর্থবিল আখ্যা দিয়ে ফেরত পাঠান রাজ্যপাল। যদিও পরে বিধানসভার স্পিকার উদয়নারায়ণ চৌধুরী তাঁর রুলিংয়ে রাজ্যপালের মতামত খারিজ করে দেন। এ ক্ষেত্রেও বিহার বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংক্রান্ত সংশোধনীটি অর্থবিল বলে ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে আরও একধাপ এগিয়ে
বিলে অসম্মতি আছে, এ কথা সাফ জানিয়ে আরও চারটি বিলে সই না করে সরকারের কাছে তা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
শুধু পটনা বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিল নিয়েই নয়, বিধানসভায় পাশ হওয়ার পরে রাজ্যপালের সইয়ের জন্য পাঠানো সংশোধনী বিল রাজ্যপাল অযথা নিজের কাছে আটকে রেখে দেন, অতীতে এই অভিযোগও প্রকাশ্যেই তুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পি কে শাহি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানানোরও হুমকি দেন তিনি। আজ অবশ্য রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেছেন, “এখনও আমরা রাজভবন থেকে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাইনি। পেলে তার জবাব দেব।” অন্য দিকে বিধানসভার স্পিকার উদয়নারায়ণ চৌধুরী অবশ্য সাফ বলেছেন, “কোনটি অর্থবিল, কোনটি নয়, সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন বিধানসভার স্পিকারই। রাজ্যপাল নন। তবে এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, তা না জেনে কিছু বলতে পারব না।”
তবে যে বিলগুলিতে তিনি আপত্তি জানিয়েছেন সে সম্পর্কে রাজ্যের সংবিধান বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিল নিয়ে আপত্তি থাকলে তা রাজ্যপালের যেমন সরকারের কাছে ফেরত পাঠানোর অধিকার সংবিধানে রয়েছে, তেমনই এ ক্ষেত্রে সরকারের অধিকারও সংবিধানেই বলা রয়েছে। এই ক্ষেত্রে নীতীশ সরকার অর্থাৎ বিহার মন্ত্রিসভা যদি রাজ্যপালের আপত্তির বিষয়টি বিবেচনার পর তা খারিজ করে বিলটি আবার রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠান তবে তাতে সই করা ছাড়া রাজ্যপালের আরও কোনও উপায় নেই। সংবিধানই এই ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অধিকারের সীমাকে বেঁধে দিয়েছে। |
|
|
|
|
|