|
|
|
|
গ্লুকোজ-স্যালাইন, তবু অনশনে অনড় |
সংবাদসংস্থা • হরিদ্বার |
অনশনের সপ্তম দিনে ফের নাটকীয় মোড়। স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতি হওয়ায় যোগগুরু রামদেবকে আজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে গ্লুকোজ ও স্যালাইন দেওয়া হলেও অনশন কর্মসূচি থেকে তিনি সরছেন না বলে জানিয়েছেন রামদেব।
পতঞ্জলি যোগপীঠের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আজ সকালে রামদেবের শারীরিক অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে জানান চিকিৎসকেরা। তার পরেই তাঁকে হাসপাতালে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন স্বয়ং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। দিল্লি থেকে মনমোহন সরকার রামদেবকে জোর করে ফেরত পাঠানোর সময় বিজেপির এই মুখ্যমন্ত্রীই আশ্বাস দিয়েছিলেন, হরিদ্বারে রামদেবকে অনশন চালাতে সব রকম সাহায্য করবে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। কিন্তু আজ সকালে চিকিৎসকদের কথা শুনে ‘দুশ্চিন্তাগ্রস্ত’ মুখ্যমন্ত্রী হরিদ্বারের জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, রামদেবকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। এ বিষয়ে তাঁর মত জানতে চাইলে অনশনরত যোগগুরুও হাসপাতালে যেতে আপত্তি করেননি। ঠিক হয়, পতঞ্জলি আশ্রম থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে দেরাদুনের ‘জলি গ্রান্ট’ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে তাঁকে। রামদেবকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ। |
|
রামদেবকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর ভক্তের দল প্রথমে বাধা দিয়েছিলেন। যোগগুরুকে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার সময়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষও হয়। পরে অবশ্য আশ্রম কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ বন্ধ করেন ভক্তেরা। অ্যাম্বুল্যান্সেই যোগগুরুকে গ্লুকোজ দিতে শুরু করেন চিকিৎসকেরা। উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জেনারেল আশা মাথুর বলেন, “হাসপাতালে আনা মাত্র রামদেবকে আইসিউ-তে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর রক্তচাপের মাত্রা ১০৪/৭০। নাড়ির স্পন্দন ৫৬। তাঁকে গ্লুকোজ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তাঁর যকৃতে সামান্য গণ্ডগোল পাওয়া গিয়েছে, সংক্রমণ মিলেছে মূত্রেও। সাত দিনে দেড় কেজি ওজন কমেছে।” পরে অবশ্য রামদেবের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ১১০/৭৮। রামদেবের জন্য দু’টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ‘আর্ট অফ লিভিং’-এর প্রবক্তা রবিশঙ্কর আজ রামদেবকে দেখতে হাসপাতালে যান। তিনি বলেন, “আজ সকাল থেকে ওঁর অবস্থা খুব খারাপ হয়েছিল। ওঁকে অনশন তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়েছি।” রামদেবের এক ঘনিষ্ঠ শিষ্য স্বামী স্বরূপানন্দ দাবি করেছিলেন, রামদেব জ্ঞান হারিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর জ্ঞান রয়েছে। তিনি কথাও বলছেন। |
|
|
|
|
|