টুকরো খবর
|
বিরোধী প্রচার ঠেকাতে পুস্তিকা কংগ্রেসের, সব রাজ্যে সভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মূল্যবৃদ্ধি থেকে কালো টাকা বা দুর্নীতি একের পর এক বিষয় নিয়ে কংগ্রেস তথা কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যে নেতিবাচক হাওয়া উঠেছে, তা সামাল দিতে এ বারে দলকে জোরদার প্রচারে নামার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। সেই প্রচারে এই সব বিষয়গুলির মোকাবিলা যেমন করা হবে, তেমনই তুলে ধরা হবে ইউপিএ সরকারের একাধিক সাফল্যের কথাও।
দলনেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, চলতি মাসের মধ্যে সবক’টি রাজ্যের রাজধানীতে একটি বড় জনসভা করতে হবে কংগ্রেসকে। সেই সভায় রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও হাজির থাকবেন। শুধু সভা করাই নয়, প্রতিটি রাজ্য রাজধানীতে সংবাদমাধ্যমের কাছেও এই সব বিষয় তুলে ধরতে হবে। আজ হাইকম্যান্ডের তরফে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে রবিবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন। কলকাতায় জনসভার জন্য দ্রুত দিন ঠিক করা হবে। ‘অপারেশন রামদেবে’র পরে গত রবিবার দল ও সরকারের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সনিয়া ক্ষোভ জানান। বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বা কালো টাকা উদ্ধারে পদক্ষেপ সবই করছে ইউপিএ সরকার। কিন্তু এ সব নিয়ে দল সে ভাবে প্রচার করেনি। তার পরেই স্থির হয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি’ নিয়ে পুস্তিকা প্রকাশ করা হবে। পুস্তিকাটির বয়ান তৈরি করছেন প্রণববাবুই। সেটি তুলে ধরেই প্রচারে নামবে দল। তাতে একশো দিনের কাজ, শিক্ষার অধিকার-সহ ইউপিএ সরকারের একাধিক সাফল্য তুলে ধরা হবে। এ-ও বলা হবে যে, কংগ্রেস কোনও দুর্নীতির ঘটনাকে বরদাস্ত করবে না।
|
পস্কো বিরোধী জমায়েত বেআইনি |
সংবাদসংস্থা • পারাদীপ |
পস্কোর জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-জমায়েত চলছেই। এরই মধ্যে শুক্রবার ঢিনকিয়ায় ঢোকার মুখে বিক্ষোভকারীদের এমনই একটি জমায়েতকে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করল ওড়িশা সরকার।
নিজেদের জমি ছাড়তে নারাজ গ্রামবাসীরা এ দিন প্রকল্প-অঞ্চলে প্রবেশের মুখে মানব-শৃঙ্খল গড়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মীদের পথ আটকে দেয়। তিন স্তরীয় ওই শৃঙ্খলের একেবারে সামনের সারিতে ছিল বাচ্চারা। তার পরে মহিলা ও বয়স্ক গ্রামবাসীরা। তৃতীয় স্তরে ছিলেন বাদবাকিরা। জগৎসিংহপুর জেলা কলেক্টর এন সি জেনা জানান, বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে এক ইঞ্চি সরতেও রাজি না-হওয়ায় ওই এলাকা থেকে তুলে নেওয়া হয় পুলিশ। কারণ হিসাবে তাঁর ব্যাখ্যা, “অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এটা করা হয়েছে। আমরা হিংসা চাই না। এমনকী কেউ হিংসায় মদত দিলেও তা বরদাস্ত করব না। গ্রামবাসীদের অসন্তোষ থাকলে, তাঁরা এসে কথা বলতে পারেন জেলা কলেক্টর ও এস পি-র সঙ্গে।” ঢিনকিয়া অঞ্চলে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলেও অবশ্য এ দিন গোবিন্দপুরে ১১টি পানের বরজ হাতে এসেছে বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র। আইন-শৃঙ্খলাজনিত কোনও সমস্যা নেই জানিয়ে জেলা পুনর্বাসন বিষয়ক
আধিকারিক সুরজিৎ দাস দাবি করেন, “শান্তি বজায় রেখে অধিগ্রহণ পর্ব সারতে গ্রামবাসীদের সমর্থন আদায়ের প্রাণপণ চেষ্টা চলছে।” জেলা প্রশাসনের
দেওয়া হিসাব মাফিক, এখনও পর্যন্ত সরকারের হাতে এসেছে গড়কুজঙ্গ ও নুয়াগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৬৫৬টি পানের বরজ। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে ৬.৮৫ কোটি টাকা।
|
মাওবাদী হানায় দু’দিনে ১৪ পুলিশ হত ছত্তীসগঢ়ে |
সংবাদসংস্থা • রায়পুর |
পরপর দু’দিন মাওবাদী হানায় ছত্তীসগঢ়ে মৃত্যু হল ১৪ জন পুলিশের। আজ দন্তেওয়াড়া জেলায় মাওবাদীরা একটি ল্যান্ডমাইন-নিরোধক গাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিলে ১০ জন পুলিশের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ৭ জন বিশেষ পুলিশ বাহিনীর সদস্য এবং ৩ জন জওয়ান। গত কালও নারায়ণপুর জেলার একটি জঙ্গলে মাওবাদী হানায় মৃত্যু হয় ৪ জন পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, দুটি গাড়িতে করে বেশ কয়েক জন পুলিশ আজ কাতিকল্যাণ এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁরা যখন গতন গ্রামের কাছে একটি সেতুর কাছাকাছি পৌঁছন তখনই মাওবাদীরা শক্তিশালী ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় একটি গাড়ি উড়ে যায়। এর পরই মাওবাদীরা পুলিশের উপর নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করলে মাওবাদীরা পালিয়ে যায়। গত কাল ভোর রাতে ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুর জেলার একটি জঙ্গলে ‘ছত্তীসগঢ় আর্মড ফোর্স’-এর একটি ক্যাম্প লক্ষ করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। নিহত হন ৪ পুলিশ।
|
রূপম পাঠকের বিচার শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
পূর্ণিয়ার বিজেপি বিধায়ক রাজকিশোর কেশরী হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি রূপম পাঠকের বিরুদ্ধে ‘অনিচ্ছাকৃত খুনের’ অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় চার্জ গঠন করলেন পটনার সিবিআই আদালতের বিচারক বসন্তকুমার সিংহ। ২ এপ্রিল সিবিআই রূপম পাঠকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। তার ভিত্তিতে আজ চার্জ গঠন করে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। চার্জ গঠন করার আগে বিচারক রূপমের কাছে জানতে চান, তিনি বিজেপি নেতাকে হত্যা করেছেন কি না। রূপম ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিচারক পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন চলতি মাসের ১৬ তারিখ। তাঁর উপর লাগাতার যৌন নিগ্রহের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি পূর্ণিয়ার তদানীন্তন বিধায়ক রাজকিশোর কেশরীর উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালান স্কুল-শিক্ষক রূপম পাঠক। ওই হামলায় মৃত্যু হয় কেশরীর।
|
শিশুমৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ফারবিশগঞ্জের গুলি চালনার ঘটনায় নিহত ১০ মাসের শিশু নৌশাদের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন নীতীশ কুমার। ৩ জুন একটি গ্লুকোজ তৈরি সংস্থার রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় আরারিয়ার ফারবিশগঞ্জে। রাস্তার একটি অংশ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হচ্ছিল। রাস্তাটি ঘিরে দেওয়ার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে রাস্তার দু’পাশের পাঁচিল ভাঙতে শুরু করেন। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাদের হঠাতে পুলিশ গুলি চালালে ১০ মাসের ওই শিশু-সহ চার জন নিহত হন।
|
গুলিতে জখম নির্মাণকর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
গুলিবিদ্ধ হলেন এক বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার কর্মী। মুঙ্গেরে গঙ্গার উপরে নির্মীয়মাণ সড়ক ও রেল সেতু প্রকল্পে কর্মরত রাজকুমার দত্ত আজ সকালে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে আসছিলেন। মুঙ্গেরের লাল দরওয়াজা এলাকায় এক দুষ্কৃতী উল্টো দিক থেকে মোটরসাইকেলে এসে রাজকুমারের উপরে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। মাথায় গুলি লাগে রাজকুমারের। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে মুঙ্গের সরকারি হাসপাতালে এবং পরে পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় চিন্টু যাদব নামে এক তোলাবাজ রাজকুমারের উপরে গুলি চালিয়েছে।
|
মিলল দুই বোনের ঝুলন্ত দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
দুই স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল গাছের ডালে। ঘটনাটি ঘটেছে, তেজপুরের মিলনপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, পাখিয়াঝাড় এলাকায় একই স্কুলে পড়ত পূজা ও মেঘালি তাঁতি। তাঁরা দু’জনেই একই পরিবারের সদস্য এবং সম্পর্কে বোন। পূজা নবম শ্রেণির এবং মেঘালি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। আজ দুপুরে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে দু’জনের দেহ ঝুলতে দেখা যায়। পড়শিদের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে মেঘালিকে প্রথমে হত্যা করা হয়েছে, পরে মেঘালির পরিবার পূজাকে হত্যা করে। কিন্তু পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পরে সন্দেহ করছে, বাড়িতে নিত্যদিনের ঝগড়া সইতে না পেরে মানসিক অবসাদে দুই তুতোবোন আত্মহত্য করেছে। |
|
কৃষি জমি অধিগ্রহণে উৎসাহ দিতে চায় না ন্যাক |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
জমি অধিগ্রহণ এবং পুনর্বাসন সংক্রান্ত আইন “মানবিক” হওয়া প্রয়োজন। তাই ওই আইনে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথা মাথায় রাখা উচিত বলে মনে করে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ (ন্যাক)। কেন্দ্রের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে ওই সাতটি বিষয়ের কথা জানিয়েও দিয়েছে ন্যাক। ন্যাকের মতে, কৃষি জমি অধিগ্রহণে উৎসাহ দেওয়াই ঠিক নয়। কারণ, তার সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। দেখতে হবে বাধ্য হয়ে মানুষের স্থান ত্যাগের ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা হয়েছে কি না। অধিগ্রহণের ফলে মানুষ, বাসস্থান, পরিবেশ ও জীব বৈচিত্রের উপরে বিরূপ প্রভাব পড়লে তা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। অধিগ্রহণে যাঁদের উপরে প্রভাব পড়বে তাঁদের সকলের কথাই মাথায় রাখতে হবে। যাঁদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের প্যাকেজ তৈরি করা হচ্ছে, তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও কর্ম দক্ষতার কথা মাথায় রাখতে হবে। মাথায় রাখতে হবে তাঁদের সমাজ-সংস্কৃতি ও সেই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের কথাও। অধিগ্রহণের আগে মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখা একান্ত প্রয়োজন। আইন সঠিক ভাবে কার্যকর করা হয়েছে কি না তাও দেখতে হবে। কোনও সরকারি আধিকারিক এই আইন ভাঙলে শাস্তিদানের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ন্যাক। |
|