দিল্লি দরবার


নেই, আছেনও

গরমের ছুটি কাটাতে বিদেশে গিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। ১০ জনপথে গেলে অবশ্য বোঝার উপায় নেই, তিনি দিল্লিতে নেই। সনিয়ার নির্দেশে তাঁর সব ব্যক্তিগত সচিব, দফতরের কর্মী বা নিরাপত্তা রক্ষী নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছেন বাড়িতে। রোজকার মতো সকাল সাড়ে আটটায় সনিয়ার ব্যক্তিগত সচিব মাধবন, পিল্লাই বা ভিনসেন্ট জর্জরা আসছেন দফতরে। নিয়ম করে দর্শনার্থীদের সঙ্গে দেখা করছেন। সনিয়ার কাছে যাঁদের যা অভিযোগ, তা গ্রহণ করছেন। ‘ম্যাডাম’ যে নেই তা একেবারেই বুঝতে দিচ্ছেন না। নিরাপত্তার কারণে কংগ্রেসের নেতা বা মন্ত্রীকে পর্যন্ত বলা হচ্ছে না, সনিয়া দেশের বাইরে। কোনও নেতা বা মন্ত্রী দেখা করতে চাইলে বলা হচ্ছে এখন সময় নেই। কয়েক দিন পরে দেখা করতে পারবেন। কিন্তু সনিয়া যেখানেই যান, সঙ্গে থাকে ব্ল্যাকবেরি মোবাইলটি। সনিয়া ততটা ‘টেক-স্যাভি’ না হলেও নিয়মিত ই-মেল দেখেন। কোনও মন্ত্রী বা নেতার খুব গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য কিছু থাকলে মাধবন বিষয়টি সনিয়াকে ‘মেল’ করে দেন। সনিয়াও ই-মেলেই জবাব দিয়ে দেন মাধবনকে।

অতনুর জমি

যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙালি আমলা। পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের অফিসার, কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব অতনু পুরকায়স্থ। পাঁচ বছর ধরে পরিশ্রম করে পিএইচডির কাজ শেষ করলেন। বিষয়, জমি সংস্কার এবং জমি থেকে কী ভাবে মানুষের জীবিকা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। খড়গপুর আইআইটি থেকে গবেষণা করেছেন। খবরটি পেয়ে সতীর্থ আমলারা তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। কানপুরের ছেলে অতনু স্বভাবে লাজুক। পিএইচডির খবর জানাতে না চাইলেও খড়্গপুরের অধ্যাপক মারফত বিষয়টি যথেষ্ট চাউর হয়েছে আমলা মহলে। নাগপুর থেকে অতনুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ‘ন্যাশনাল ব্যুরো অফ সয়েল সার্ভে অ্যান্ড ল্যান্ড ইউজ প্ল্যানিং’-এর অধিকর্তা দীপক সরকার। অভিনন্দনের সঙ্গেই অতনুকে তাঁর প্রস্তাব, “এ বার কলকাতায় ফিরে যান। এই জমি সংস্কার ও অধিগ্রহণ এখন তো রাজ্যের ‘হট’ বিষয়। ওখানে আপনাকে খুব দরকার ।”

দায়িত্বে বাঙালি
রাষ্ট্রপুঞ্জের মতোই একটি সংস্থা ‘কমন ফান্ড ফর কমোডিটি’। ১০৫টি দেশ এর সদস্য। আমস্টারডামে সংস্থার সদর দফতর। সংগঠনের কাজ, সদস্য দেশগুলির ভিতর বিভিন্ন কৃষিপণ্য ও অন্য সামগ্রীর আমদানি-রফতানি নিয়ে পরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং সে ব্যাপারে তহবিল সংগ্রহ। সংস্থার পরিচালন পরিষদের সদস্য হলেন পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের অফিসার, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব সিদ্ধার্থ। গত নভেম্বরে আবুজায় পরিষদের সদস্যদের নির্বাচন হল। তাতে তিনি সর্বসম্মতিক্রমে শুধু যে পরিষদ সদস্য হলেন, তা-ই নয়। সংস্থার মুখপাত্রও হলেন। নভেম্বরে যখন ভোটাভুটি হচ্ছিল, তখন আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলো ভারতীয় প্রতিনিধিকে ভোট দেবেন বলে জানায়। তখন ইওরোপীয় সদস্যরা বলেন, তা হলে আমরা ওঁকে নির্বাচিত করছি। ভোটাভুটিতে কাজ নেই। বাঙালি আমলার জন্য যথেষ্ট শ্লাঘার বিষয় বটে।

নবজাতিকা

ঠাকুরদা হলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। গত সোমবার মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে নাতনি হয়েছে বিজেপির এই প্রবীণ নেতার। খবর পেয়েই ঠাকুরদা-ঠাকুমা নাতনির নাম খুঁজতে অভিধান নিয়ে বসে পড়েছেন। একটি নামও রাখা হয়েছে নবজাতিকার। নব্যা। নবাগতার বাবা জয়ন্ত দিল্লি ফিরেছেন। নাতনিকে নিয়ে আডবাণীর পুত্রবধূ গীতিকা আসবেন আর ক’দিন পর। শুভেচ্ছা জানানোর পালাও শুরু হয়ে গিয়েছে। অরুণ জেটলি, নাজমা হেপতুল্লা থেকে শুরু করে অনুরাগ ঠাকুর মুম্বইয়েই জয়ন্তকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। নাতনি ও পুত্রবধূ দিল্লিতে ফিরলে ভোজের আয়োজনও করবেন আডবাণী।

অনুবাদে বিশ্বকবি
রবীন্দ্রনাথের সার্ধ শতবর্ষে তাঁর লেখা মাউসের ক্লিকে পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের নানা ভাষার মানুষের কাছে। কাজটি করেছে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা সি-ড্যাক। সংস্থাটি ইন্টারনেট-প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করে। তবে এই রবীন্দ্র-চর্চার উদ্যোগ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর ছেলে পার্থসারথীর। তিনি আমেরিকায় নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এরোনটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গবেষণা করছেন। স্যাম পিত্রোদার নেতৃত্বাধীন সি-ড্যাক-এর সঙ্গেও যুক্ত। কলকাতায় বড় হয়ে ওঠা পার্থর রবীন্দ্র-প্রীতি কম নয়। তাঁর উদ্যোগে ওই সংস্থা রবীন্দ্র কাব্য, গান, নাটক, উপন্যাস মোট ৩৭টি ভাষায় অনুবাদ করেছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে অনুবাদের গুণমান নিয়ে। তবে বিশ্বের এত মানুষের কাছে রবীন্দ্রনাথকে পৌঁছে দেওয়া? এটাও কি চাট্টিখানি কথা!
Previous Story Desh First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.