|
|
|
|
ব্লক-কর্তার দফতরে তাণ্ডব |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²চাঁচল |
বিপিএল পরিবারের জন্য বরাদ্দ ত্রাণের চাল অর্ধেকেরও কম পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে গুজবের জেরে বিডিও অফিসে তাণ্ডব চালালেন একদল উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মালদহের চাঁচল-২ ব্লক অফিসে। বরাদ্দ চাল আত্মসাৎ করতে কম পরিমাণ বিলি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আবদুল হাই এবং যুব কংগ্রেস নেতা গোলাম মাহফুজ আলম এবং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গোলাম মর্তুজাকে নিগৃৃহীত করেন তাঁরা। পরে বিডিওর ঘরে ঢুকে তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার জেরে চাল বিলি বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। জখম দুই কংগ্রেস মালতিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পরে ছাড়া হয়। বিডিও ভাস্কর মজুমদার বলেন, “অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক ঘটনা। পূর্ব ঘোষণা মতো নির্দিষ্ট পরিমাণেই চাল বিলি হচ্ছিল। গুজবের জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই পরবর্তী পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক তরুণ সিংহরায় বলেন, “চাল বিলি নিয়ে চাঁচল-২ ব্লকে গোলমালের ব্যাপারে বিডিওর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৪ হাজার ২১৮টি বিপিএল পরিবার রয়েছে। গত বছরের খরার জন্য সম্প্রতি ত্রাণ দফতর চাল পাঠায়। পরিবার পিছু বরাদ্দ হয়েছে ১৮ কেজি করে চাল। কিন্তু চাল পৌঁছেছে ৪ হাজার ৭৩ কুইন্টাল। সরকারি ঘোষণা মতো চাল বিলি করলে মাত্র ২২ হাজার উপভোক্তার মধ্যে ওই চাল বিলি করা যাবে। সেই জন্য ১৫ কেজি করে চাল বিলির পরিকল্পনা হয়। বরাদ্দ পেলে পরে বাকি ৩ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়। তার পরেই এ দিন চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা চাল নিয়ে বিডিও অফিসে ভিড় করেন। ওই চালের টোকেন বিলির সময়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে ৩৫ কেজির বদলে ১৫ কেজি করে চাল বিলি করা হচ্ছে। তাতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কলার ধরে বেধড়ক কিল, চড়, ঘুষি মারা হয় বিরোধী দলনেতা আবদুল হাইকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে নিগৃহীত হন যুব কংগ্রেস নেতা। ধাক্কাধাক্কি করা হয় বিডিওকে। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, “পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা মনে হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশে চাল বিলির সময়ে হাজির ছিলাম। কারা প্ররোচনা দিয়েছেন সেটা জানার চেষ্টা করছি। তার পরেই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গোলাম মর্তুজা বলেন, “প্রশাসনিক বৈঠকে ১৫ কেজি করে চাল বিলির সিদ্ধান্ত হয়। ৩৫ কেজি চাল বিলির গুজব কারা ছড়ালেন জানার চেষ্টা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|