|
|
|
|
বাম-শরিকি বিরোধ প্রকাশ্যে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²রায়গঞ্জ |
পুর নির্বাচনের আসন বিলি নিয়ে রায়গঞ্জে বড় শরিক সিপিএমের সঙ্গে সোসালিস্ট পার্টির বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এল। আগামী ১০ জুলাই পুর নির্বাচন হবে। বুধবার থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সোসালিস্ট পার্টির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেননি জেলা বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। দাবি মানা না-হলে শহরের ২৫টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সোসালিস্ট পার্টি। উত্তর দিনাজপুর জেলা বামফ্রন্টের সচিব অপূর্ব পাল বলেন,“আসন ভাগাভাগি নিয়ে সাময়িক সমস্যা হয়েছে।বামফ্রন্ট বৈঠকে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।” আসন রফা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের আলোচনা অবশ্য সন্তোষজনক বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস ১৭টি এবং তৃণমূল ৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। জেলা বামফ্রন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর নির্বাচনে নিজেদের হাতে ২১টি ওয়ার্ড রেখে বড় শরিক সিপিএম আরএসপিকে ২টি এবং সিপিআই ও সোসালিস্ট পার্টিকে একটি করে আসন ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছে। সোসালিস্ট পার্টি আরও ২টি ওয়ার্ড দাবি করেছে। দলের জেলা সম্পাদক অরুণ দে বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী কিরণময় নন্দ হেরে গেলেও গত দশ বছরের তুলনায় পুর এলাকায় আমাদের ভোট বেড়েছে। মন্ত্রী থাকাকালীন কিরণময়বাবু শহরের নানা এলাকায় উন্নয়নের কাজ করেছেন। আমাদের কর্মী ও সমর্থকেরা সংখ্যাও বাড়ছে। কমপক্ষে ৩টি আসন ছাড়া না-হলে দলের তরফে ২৫টি ওয়ার্ডের প্রার্থী দেওয়া হবে বলে সিপিএম এবং জেলা বামফ্রন্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” সিপিএমের রায়গঞ্জ লোকাল কমিটির সম্পাদক নীলকমল সাহা বলেন, “কিরণময়বাবু হেরে গেলেও রায়গঞ্জ শহরে বামফ্রন্টের ভোট বেড়েছে। সোসালিস্ট পার্টির দাবি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে শরিকি দ্বন্দ্বের কোনও সুযোগ যাতে বিপক্ষ নিতে না-পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।” ২০০৬ সালে রায়গঞ্জে ২৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছিল ২৩টি ওয়ার্ডে। আরএসপি ২টি এবং সোসালিস্ট পার্টি একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। সেবার পুরভোটে ১৮টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়ে কংগ্রেস পুর বোর্ড গঠন করে।২টি আসন পায় নির্দল প্রার্থীরা।সিপিএম ৪টি এবং আরএসপি ও সোসালিস্ট পার্টি একটি করে আসন পায়। অরুণবাবু বলেন, “এ বার বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেন। ফলেপুর নির্বাচনও কঠিল লড়াই। পরিস্থিতি বিচার করে আসন রফা হওয়া দরকার। এই ব্যাপারে সিপিএমকে আরও নমনীয় হতে হবে।” কংগ্রেস তৃণমূল জোট সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭-৮ ফরমুলায় আসন রফার সিদ্ধান্ত হলেও কোন দল কোন ওয়ার্ড পাবে তা চূড়ান্ত হয়নি। এই ব্যাপারে আজ, শুক্রবার ফের বৈঠক ডাকা হিয়েছে। সেখানে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। জেলা তৃণমূলের উপদেষ্টা তিলক চৌধুরী বলেন, “আমরা ১০টি ওয়ার্ড দাবি করেছিলাম। কংগ্রেস ৮টি ছেড়েছে। তাতেই আমরা খুশি। তবে তৃণমূল সমর্থিত নির্দলদের ওয়ার্ডগুলি-সহ বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের দখলে থাকা কিছু ওয়ার্ড আমরা দাবি করেছি।” জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “তৃণমূলকে ৮টি আসন ছাড়া হয়েছে। তবে কে, কোথায় প্রার্থী দেবে তা নিয়ে দলের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনা করছেন।” |
|
|
|
|
|