|
|
|
|
মমতা দর্শনে মাধ্যমিকের তিন মেধাবী |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²দিনহাটা |
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোচবিহারের উন্নয়নে একগুচ্ছ আর্জি জানাতে মুখিয়ে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় থাকা দিনহাটার তিন কৃতী ছাত্রছাত্রী। আজ, শুক্রবার উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে কলকাতা রওনা হচ্ছেন তাঁরা। ওই তিন জন হলেন, দিনহাটা হাইস্কুলের সৌমেন সাহা, সোনিদেবী জৈন হাই স্কুলের দুই ছাত্রী পল্লবী কর্মকার এবং নিবেদিতা রায় প্রামাণিক। শনিবার ১১ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কলকাতার টাউন হলে আলাপচারিতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের অধিকর্তা চিঠি পাঠিয়ে তা জানানোর পরই ওই তিন কৃতীই নিজেদের স্কুল, শহর তো বটেই কোচবিহার জেলার সামগ্রিক উন্নয়নের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর কথা ভেবেছেন। তিনজনে একযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিতভাবে তা জানাবেন বলে ঠিক করেছেন। দিনহাটা হাই স্কুলের আরেক কৃতী ছাত্র জয় সাহা ৪৬১ নম্বর পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তিনি অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পাননি। দিনহাটা হাই স্কুলের ছাত্র সৌমেন সাহা এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৭১ পেয়ে সংসদের মেধা তালিকায় জায়গা করে নেয়। তাঁর কথায়, “কোচবিহারে মেডিক্যাল কলেজ হলে বহু ছাত্রছাত্রীর সুবিধা হবে। বাইরে থেকে পড়ার খরচের দুশ্চিন্তাও অনেক কমবে। তা ছাড়া আমাদের স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনুপাতে কম শিক্ষক রয়েছেন। ল্যাবরেটরি এবং গ্রন্থাগারের অত্যাধুনিক পরিকাঠামো দরকার। এ সব মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে মুখিয়ে রয়েছি।” জেলার উন্নয়নে দিনহাটায় আদাবাড়ি ঘাটে সেতু তৈরি এবং কোচবিহার বিমান বন্দর চালুর আর্জিও রয়েছে সেই তালিকায়। সোনিদেবী জৈন হাই স্কুলের দুই কৃতী পল্লবী ৪৬৮ এবং নিবেদিতা ৪৬৫ নম্বর পেয়েছেন। তাঁরা বলেন, “আমাদের স্কুলেও ল্যাবরেটরি এবং গ্রন্থাগারেরও উন্নত পরিকাঠামো দরকার। জেলার জন্য মেডিক্যাল কলেজ তৈরির আবেদন এক নম্বরে রাখছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাব ভাবিনি। তাই এ সব জানানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না।” সৌমেন, পল্লবী, নিবেদিতাদের ওই পরিকল্পনা জেনে খুশি পরিচিতিরাও। সৌমেন, পল্লবীরা জানান, তাঁরা তিনজন মিলে আর্জিগুলি লিখিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান। কৃতীদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল শিক্ষা দফতরের পাঠানো চিঠিতে ভাল ফলের অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এক অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার খরচ ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছেলেমেয়ের আলাপচারিতার দৃশ্য হাতছাড়া করতে চান না পরিবারের অন্যরাও। নিবেদিতার বাবা দিনহাটার শুকারুর কুঠি হাই স্কুলের শিক্ষক হরিহরবাবু বলেন, “মেয়ের এমন আনন্দের মুহূর্তে ওর মা সঙ্গে থাকবেন না সেটা হয় না কি। সেই জন্য মেয়ের সঙ্গে আমরা দু’জনেই যাচ্ছি।” একই কারণে সৌমেনের সঙ্গে তার বাবা বরুণবাবু, মা এবং মামা যাচ্ছেন। পল্লবীর বাবা চিত্তরঞ্জনবাবুও জানান, মেয়ের সাফল্য, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতা দেখার সুযোগ পরিবারের কেউ হাতছাড়া করতে চাইছেন না। তাই সকলকে নিয়েই তিনিও কলকাতায় যাচ্ছেন। |
|
|
|
|
|