|
|
|
|
হাসপাতালে ‘হঠাৎ-সফর’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি ও ঘাটাল |
হাসপাতালে ‘হঠাৎ-সফর’ চলছেই। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল ঘুরে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
এ দিন সকালে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে আচমকা পরিদর্শনে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দাস। বহির্বিভাগে মাত্র দু’জন চিকিৎসককে দেখতে পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। সেখানে রোগীরা অভিযোগ জানান, বেলা ১২টার আগে চিকিৎসকদের পাওয়া যায় না অধিকাংশ সময়েই। সঠিক সময়ে না আসার জন্য ৫ চিকিৎসক-সহ মোট ২১ জনকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। মহিলা ওয়ার্ডে বিশেষ করে প্রসূতি বিভাগের অপরিচ্ছন্নতার ছবিও নজর এড়ায়নি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। শৌচাগার পরিষ্কারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি রোগীদের পরিবেশন করা খাবারের মানও পরীক্ষা করে দেখেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। এ দিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি সিএমওএইচ শেখর ভৌমিক, সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তরুণকান্তি খাটুয়া, দক্ষিণ কাঁথির তৃণমূল বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী প্রমুখ। সুপার তপন পালিত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের মান্ধাতা আমলের পরিকাঠামো নিয়ে নানা অনুযোগ করেন। পরে চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেন সিএমওএইচ।
এ দিনই আচমকা ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পরিদর্শনে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই। হাসপাতালের ক্যান্টিনে খাবারের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চিকিৎসক-কর্মীদের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। রোগীদের অভাব-অভিযোগ শোনার পরে হাসপাতালের সুপার অনুরাধা দেবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিধায়ক। পরে শঙ্করবাবু বলেন, “হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে সুপারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হবে।” সুপার অনুরাধা দেব বলেন, “হাসপাতালে কিছু ত্রুটি বিধায়কের নজরে এসেছে। আমাকে তা জানিয়েছেন। আমিও হাসপাতালের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথা ওঁকে জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|