টুকরো খবর
|
দেহদান মহিলা চিকিৎসকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
সরমা গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি সংগৃহীত। |
মৃত্যুর আগেই দেহদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে সরমা গঙ্গোপাধ্যায়ের (৮৮) দেহ তুলে দিলেন তাঁর পরিজনেরা। নিজে চিকিৎসক ছিলেন সরমাদেবী। বিয়ে করেননি। মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুলে পড়াশোনা। তার পর কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ। তার পর অবশ্য রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশে। সেখানে ছত্রপুর, মোরেনা, সাতনা-সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করেছেন। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে সুনাম অর্জন করেছিলেন। যুক্ত ছিলেন সমাজসেবার সঙ্গে। ধর্মীয় বিশ্বাসে ছিলেন খ্রিস্টান। চাকরি থেকে অবসরের পর চলে আসেন মেদিনীপুরে। থাকতেন মেদিনীপুর শহরের সুভাষনগর এলাকায় ভাইপোদের কাছে। ভাইপোদের কাছেই মৃত্যুর পরে দেহদানের ইচ্ছার কথা জানান। প্রথমে অবশ্য পরিবারের কেউ বিষয়টি মানতে চাননি। এর পর পরিবারের সবাইকে দেহদানের গুরুত্বের বিষয়টি নিজেই বোঝান সরমাদেবী। ভাইপো জ্যোতির্ময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “উনি চিকিৎসক ছিলেন। চিকিৎসা গবেষণার কাজে মৃতদেহ যে কতটা জরুরি, তা উনিই আমাদের বোঝান। এর পরই দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সই করেন।” বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সরমাদেবী। বুধবার কলকাতার একটি হাসপাতালে
তাঁর মৃত্যু হয়।
|
হাসপাতালে হিতেন বর্মন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাথাভাঙা |
মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবার মান উন্নয়নে উদ্যোগী রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা, পানীয় জল সমস্যা, খাবারের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিভিন্ন অভিযোগগুলি নিয়ে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। মাথাভাঙা-১ ব্লকের বিএমওএইচ অফিসে আয়োজিত ওই বৈঠকে পরিষেবা নিয়ে গাফিলতি বরদাস্ত করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন বনমন্ত্রী। মাথাভাঙার বিধায়ক বিনয় বর্মন সম্প্রতি হাসপাতাল পরিদর্শন করে পরিষেবায় ক্ষোভ উগরে দেন।
|
চিকিৎসকদের পথসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কল্যাণী |
হাসপাতালের সুপারের বদলি আটকাতে পথসভা করলেন কল্যাণী ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। চার দিন আগে ইএসআই হাসপাতালের সুপার ময়ূখ রায়কে বদলির নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে কল্যাণীর নব নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেছিলেন এই হাসপাতালে সুপারের উদ্যোগে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও তিনি বলেন, “ওঁকে কেন এভাবে বদলি করা হচ্ছে তা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও শ্রম মন্ত্রীর সঙ্গে অবিলম্বে কথা বলব।” এ দিন হাসপাতালে স্টেট গভঃ এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের তরফ থেকে সুপারের বদলির প্রতিবাদে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিক্ষোভও হয়। হাসপাতালের সুপার ময়ূখবাবুও জানান, সাড়ে পাঁচ মাস আগে তিনি এই হাসপাতালে যোগ দিয়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি রোগীদের সঠিক চিকিৎসার দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে এত তাড়াতাড়ি ফের কি করে তাঁকে বদলি করার নির্দেশ দেওয়া হল তা নিয়ে। রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “ওই হাসপাতালের সুপারের সার্ভিস রেকর্ড দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
|
৫৫ লক্ষ বিড়ি শ্রমিকের জন্য স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
শীঘ্রই স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আসছেন দেশের প্রায় ৫৫ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার অধীনে আগামী ২০১৩-’১৪ সালের মধ্যেই বিষয়টি কার্যকর করার এই প্রস্তাবে বৃহস্পতিবার সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সরকারি হিসেবে এর জন্য খরচ হবে ৩১১.২৫ কোটি টাকা। বিড়ি শ্রমিকদের একটা বড় অংশ ছড়িয়ে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ-সহ মধ্যপ্রদেশ, বিহার, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মল্লিকার্জুন খাড়্গে জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষে বিমার আওতায় আনা হবে ১০ লক্ষ শ্রমিককে। আর ২০১৩-’১৪ সালের মধ্যে চলে আসবেন সকলেই। প্রস্তাব অনুযায়ী, ৩০ হাজার টাকার স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা দেওয়া হবে বিড়ি শ্রমিক ও তাঁর পাঁচ সদস্যের পরিবারকে। তবে খরচের টাকার দাবি যদি তার থেকে বেশি হয়, তা হলে বাকি অঙ্ক সাধারণ বিধি অনুযায়ী ওয়েলফেয়ার কমিশনারই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে (যেখানে শ্রমিক বা তাঁর পরিবারের চিকিৎসা চলছে) সরাসরি মিটিয়ে দেবেন বলে জানান খাড়্গে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রত্যেক বিড়ি শ্রমিককে স্মার্ট কার্ড তো দেওয়া হবেই।
|
অমিল অ্যাম্বুল্যান্স |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
প্রায় ছ’মাস আগে সাংসদ কোটার টাকায় অ্যাম্বুল্যান্স কিনে দিতে চেয়ে তৃণমূল পরিচালিত হেতমপুর পঞ্চায়েতকে চিঠি দিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। পঞ্চায়েতকে বলা হয়েছিল দ্রুত একটি ‘কোটেশন’ জমা দিতে। অভিযোগ, ছ’মাস পরেও চিঠির উত্তর দেননি প্রধান। কোটেশন পাঠাতে এত দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী-সহ দলেরই একাংশ। প্রধান চায়না দাস বলেন, “এক কর্মী অবসর নেওয়ায় উত্তর দিতে দেরি হল। শীঘ্রই কোটেশন পাঠানো হবে।” আর শতাব্দী রায়ের বক্তব্য, “সুযোগ পেয়েও কেউ যদি তা কাজে লাগাতে না চায় তা হলে কী ভাবে উন্নয়নের কাজ হবে!”
|
ভিত্তিস্থাপন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফুলবাড়ি |
ফুলবাড়ি ২ অঞ্চলের রাঙালিভিটায় একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করা হল বুধবার। এ দিন আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পূর্ণিমা রায়। স্বাস্থ্য দফতরের আর্থিক সহায়তায় গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সেটি তৈরি করা হবে। ৬ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নার্স ও চিকিৎসক থাকবেন। মূলত এখানে প্রসূতি মায়েরা চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। এতে ১৫ টি গ্রামের লোকজন উপকৃত হবেন বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মতিন রায় জানিয়েছেন।
|
পেটের অসুখ পটাশপুরের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
গত কয়েক দিন ধরেই পেটের অসুখে ভুগছেন পটাশপুর-১ ব্লকের চিস্তিপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পূর্ব পালপাড়া ও বারুইপুর গ্রামের বহু বাসিন্দা। প্রচণ্ড গরমে এলাকার অধিকাংশ নলকূপই বিকল। বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ব্যবহার করছেন গ্রামবাসী। সেই জল থেকেই রোগ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দেবব্রত পণ্ডা। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক নারায়ণ মিদ্যা জানান, জনা পাঁচেক বাসিন্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। পরিস্রুত পানীয় জল ব্যবহারের জন্য সচেতন করা হচ্ছে গ্রামবাসীকে।
|
অনশনে অন্তঃসত্ত্বারা |
প্রসূতি সদনের দাবিতে সোমবার নারকেলডাঙা পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী রিলে অনশন করলেন জনা পঞ্চাশেক অন্তঃসত্ত্বা। ছিলেন স্থানীয় কয়েকশো যুবকও। এর মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কর্মীরা। অনশন মঞ্চে ছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়। তাঁদের না-জানিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলরের এই আচরণে ক্ষুব্ধ তৃণমূল পুর কর্তারা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নারকেলডাঙা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আউটডোর আছে। আরও উন্নত করার পরিকল্পনা থাকলেও নির্বাচনী বিধির জন্য প্রায় আড়াই মাস কাজ করা সম্ভব হয়নি। নির্দিষ্ট সময়েই কাজ হবে।” মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, পুরসভাকে না-জানিয়ে অনশনে বসে চমক সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে। নারকেলডাঙা পুর ক্লিনিকে মাতৃসদন চালানোর পরিকাঠামো নেই। আট জন চিকিৎসক নিয়োগ করে ওই ক্লিনিক উন্নত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা কংগ্রেস কাউন্সিলরকে অনেক বার বলা হয়েছে। এ নিয়ে গত পুর অধিবেশনেও আলোচনা হয়েছিল।
|
হাসপাতালে সঙ্গীত |
হাসপাতালের বহির্বিভাগে বাজছে যন্ত্রসঙ্গীত। অসুবিধা হলেই হাজির দারোয়ান থেকে সুপার। লাইনে দাঁড়িয়ে না থেকে বসতে অনুরোধ করছেন। সরকারি হাসপাতালে রোগীরা এ সবে অভ্যস্ত নন। কিন্তু এমনটাই ঘটল বৃহস্পতিবার। পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য দিতে কর্তৃপক্ষ চালু করলেন ‘শব্দ সঙ্কেত’ নামে এই বিশেষ পরিষেবা। বাজছে সময়োচিত রাগভিত্তিক যন্ত্রসঙ্গীত। সঙ্কেত বিজ্ঞান নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণারত সজল বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন এই পরিষেবার উদ্বোধন করে বলেন, “লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে মৃদু যন্ত্রসঙ্গীত রোগীদের শারীরিক যন্ত্রণা ও বিরক্তি কমাতে সাহায্য করে।” সুপার মলয় দাস বলেন, “রোগী, চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা খুশি। মিউজিক থেরাপি চালুর কথাও ভাবছি আমরা।” |
|