|
|
|
|
হঠাৎ হানা গ্রামীণ হাসপাতালে |
বিধায়ককে কাছে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ রোগীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
গ্রামীণ হাসপাতাল। এক্স রে যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু টেকনিশিয়ানের দেখা নেই দীর্ঘদিন ধরে। রোগীদের এক্স করাতে দৌড়তে হয় হাসপাতালের বাইরে বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে। ইসিজি যন্ত্রও দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। হয়রান হতে হয় রোগীদের। পনের বছর আগে বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় তৈরি হয় অপারেশন থিয়েটার। এখনও পর্যন্ত সেখানে মাত্র ৩ জন রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। প্যাথোলজিস্ট নেই। কেবল ম্যালেরিয়া আর টিবি রোগ নির্ণয় হয়। অন্য কোনও পরীক্ষা হয় না। জলপাইগুড়ির ফালাকাটা হাসপাতালের এমনই বেহাল অবস্থা। এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষ এই হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল। বাসিন্দারা বহু বার আন্দোলন করার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বেহাল দশা সরেজমিন পরিদর্শন করতে হাজির হন ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারী। বিধায়ককে সামনে পেয়ে পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বহু রোগী।
রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় একের পর এক হাসপাতাল পরিদর্শন করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দেখাদেখি বিধায়করাও নিজেদের এলাকার হাসপাতালগুলিতে হানা দিচ্ছেন। ফালাকাটার বিধায়ক বলেন, “বিশাল এই হাসপাতালের উপরে বহু মানুষ নির্ভরশীল। তবে পরিকাঠামো খুব খারাপ। এত দিন কেউই দেখেননি। বিষয়টি যথাস্থানে জানাব।” ফালাকাটার বিধায়ক এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ আচমকা এসে হাসপাতালে ঢুকে পড়েন। আউটডোরে চিকিৎসকদের উপস্থিতি দেখেন। এর পরে ১৯৯৬ সালে তৈরি অপারেশন থিয়েটারের তালা খুলতে বলেন। বেশ কিছুক্ষণ পরে একজন কর্মী চাবি নিয়ে আসেন। বিধায়ক অপারেশন থিয়েটারের দুটি শীতাতপ যন্ত্র চালাতে বললে কর্মীরা জানান, দুটি যন্ত্রই খারাপ। প্রসবের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে জলপাইগুড়ি অথবা আলিপুরদুয়ারে রেফার করা হয় বলেও চিকিৎসকেরা বিধায়ককে জানান। হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স না-থাকায় রোগীদের যে চড়া হারে ভাড়া গুনতে হয় সে কথা জানার পরেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক। এক্স রে রুমের তালা খোলার নির্দেশ দিয়েবিধায়ক জানতে পারেন, টেকনিশিয়ান নেই। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বিভাস রায় বিধায়ককে জানান, দীর্ঘদিন ধরে টেকনিশিয়ান অসুস্থ। তাই এক্স রে বন্ধ রয়েছে। বিধায়ক জানান, সমস্ত ঘটনা তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন। |
|
|
|
|
|