|
|
|
|
দার্জিলিং চুক্তি দেখতে চান বিমান, সূর্যকান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² কলকাতা |
দার্জিলিং চুক্তি নিয়ে ‘সন্দেহ’ প্রকাশ তো করেছেনই, পাশাপাশি পাহাড়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাদের ‘কথাবার্তা’ বাংলাকে ভাগ করার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। তাঁর মতে, “পাহাড়ের নেতারা ওখানে গিয়ে যা বলছেন, তা বাংলা-ভাগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২১ বছরে যা হল না, সেটা এখন অল্প সময়ে সমাধান হয়ে গেল! কিন্তু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা পাহাড়ে গিয়ে বলছে গোর্খাল্যান্ডের ভিত হয়ে গিয়েছে, এ বার একতলা, দোতলা তৈরি হবে।”
ক্ষমতায় আসার ১৮ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই গোর্খা জনমুক্তি মোচার্র নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই চুক্তি নিয়ে তাঁর মন্তব্য জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার বিমানবাবু বলেন, “পাহাড়ে কোন সূত্রে চুক্তি হল জানি না। চুক্তিটা কী, চুক্তির বয়ান কী, ভৌগোলিক এলাকা কী, রোড ম্যাপ কী তা জানি না। এগুলো না-জানলে চুক্তি নিয়ে কিছু বলা বা মন্তব্য করা মুস্কিল।” চুক্তিতে তরাই ও ডুয়ার্সের কিছু এলাকা সংযোজনের বিষয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। সেই বিষয়ে প্রশ্নের জবাবেও বিমানবাবু বলেন, “বললাম তো, চুক্তিটা কী, তা-ই জানি না। কত মৌজা যুক্ত হচ্ছে, তরাই-ডুয়ার্স নিয়ে কী হচ্ছে কিছুই জানি না। আমরা তো অন্ধকারে!” পাহাড়ের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের রাস্তা মসৃণ হওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি চুক্তির ব্যাপারটিকে ‘সাধুবাদ’ দেবেন কি? বিমানবাবু বলেন, “সাধুবাদ জানানোর প্রশ্নে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওঁরা (মোর্চা নেতৃত্ব) এখানে একরকম বলছেন, পাহাড়ে অন্যরকম বলছেন। তাহলে কী ভাবে এই চুক্তির ব্যাপারে সাধুবাদ জানাব?”
এ দিনই চুক্তিটি জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এ দিন বিধানসভায় তাঁর কক্ষে সূর্যবাবু দার্জিলিং চুক্তিতে নতুন কোনও এলাকার অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করে বলেন, “দার্জিলিঙের সমস্যার সমাধান যদি হয় তাহলে স্বাগত জানাব। কিন্তু চুক্তির কথা মৌখিতভাবে আমরা জানি। তবে চুক্তিতে নতুন কোনও এলাকা অর্ন্তভুক্ত করলে আমরা তার বিরোধিতা করব।” |
|
|
|
|
|