কিশোরীর খোঁজ নেই, শিক্ষকেরও
মাধ্যমিক উত্তীর্ণ এক কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। কিশোরী যে মাদ্রাসা থেকে পাশ করেছে, সেখানকার এক শিক্ষকের হদিস মিলছে না। তাতেই নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে। আমবাড়ি ফাঁড়ির ভান্ডারিগছ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় একটি হাই মাদ্রাসার ছাত্রী ছিল মেয়েটি। ২৯ মে কিশোরী নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মেয়েটির বাড়ির লোকজন বা স্কুলের তরফে পুলিশে অভিযোগ করা হয়নি। বুধবার গ্রামের মানুষজন ও অভিভাবকরা এ নিয়ে পুলিশ, স্কুল কর্তৃপক্ষ, জেলা স্কুল কর্তপক্ষ ও রাজগঞ্জ বিডিও’র কাছে নালিশ করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হামিদার রহমান বলেন, “মেয়েটিকে নিয়ে কে উধাও হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে ওই শিক্ষক ২৯ মে থেকে স্কুলে আসছেন না। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে স্কুল পরিচালন কমিটির একটি সভা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মতো স্কুলে কিছু না জানিয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণ দর্শনোর জন্য তাঁর বাড়ির ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হবে। যা ব্যবস্থা নেওয়ার ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষই নেবেন। এর উপর আমি আর বেশি কিছু জানি না।” স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অভিযুক্ত ওই শিক্ষক মাত্র ৮ মাস হয়েছে এই স্কুলে শিক্ষক পদের চাকরি পেয়েছেন। ভুটকিরহাট এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ ইউনুস আলি, নির্মলচন্দ্র বর্মনরা বলেন “শিক্ষকের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেম ছিল। ২৯ মে মেয়েটিকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় ওই শিক্ষক। এত বড় ঘটনার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে চুপ করে ছিলেন। মেয়েটির বাড়ির লোকজনও চুপ করে ছিল। মঙ্গলবার আমরা বিষয়টি নিয়ে যখন স্কুলে গিয়ে স্মারকলিপি দিই। এর পর স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে। আমাদের কথা, ওই ছাত্রী ওই শিক্ষকের মেয়ের মতোই। স্কুল শিক্ষক হয়ে কী করে এমন কাজ করলেন? সামাজিক দৃষ্টিতে এই ঘটনা অত্যন্ত খারাপ। ওই শিক্ষক। স্কুলের অন্য ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কথা ভেবে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছি এ ধরনের শিক্ষককে যাতে স্কুলে আর ঢুকতে দেওয়া না হয়।” স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাবাও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য। তিনি বলেন, “ওই শিক্ষকই যে আমার মেয়েকে নিয়ে ঊধাও হয়েছে, তার কী প্রমাণ আছে? গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অপপ্রচার করছে। তা ছাড়া কোনও অভিভাবক বা গ্রামবাসীদের কেউ আমার কাছে কোনও কিছু জানতে চায়নি।” স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক মহিমুদ্দিন বলেন, “মেয়েটিকে না পাওয়া পর্যন্ত বা ওই শিক্ষকের কাছ থেকে স্কুলে না আসার সঠিক কারণ না জানা পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।”
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.