ফর্ম বিলি নিয়ে তুলকালাম শিলিগুড়ি কলেজে
|
ছাত্র সংঘর্ষে জখম ১৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² শিলিগুড়ি |
ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলেছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে শিলিগুড়ির ব্যস্ত সড়ক প্রায় ১ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ির হাসমি চকে। অবরোধে প্রধান তিনটি রাস্তা হিলকার্ট রোড, সেবক রোড এবং বিধান রোড বন্ধ হয়ে যায়। দাবদাহে ভোগান্তি হয় আটকে পড়া স্কুল ফেরত শিশু থেকে সাধারণ যাত্রীদের। শিলিগুড়ি থানার আইসি অলোক দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে নেওয়ার আবেদন করলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এসএফআইয়ের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সৌরভ দাস বলেছেন, “কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদের দখল নিতে সংগঠনের ছাত্রছাত্রীদের উপর চড়াও হচ্ছে ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এ দিনও শিলিগুড়ি কলেজ ও সূর্য সেন কলেজে এসএফআই ছাত্রদের উপরে হামলা হয়। ১৩ জন ছাত্র জখম হন। এর প্রতিবাদেই রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে ফের অবরোধে সামিল হব।” ছাত্র পরিষদের দার্জিলিং জেলার নেতা দিব্যেন্দু দাস বলেন, “এসএফআই সদস্যরা ছাত্র পরিষদের উপর হামলা করেছে। আমাদের ৩ জন ছাত্র জখম হন। সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে এসএফআই হামলা চালায়।” |
|
সংঘর্ষের পর শিলিগুড়ি কলেজে সিআরপি জওয়ানদের টহল। ছবি: সন্দীপ পাল। |
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন শিলিগুড়ি কলেজে স্নাতক বর্ষের ভর্তির ফর্ম বিলির কাজ শুরু হয়। ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যে সব ছাত্র সংগঠন শিবির করে। সকাল থেকে দুই শিবিরেই জমায়েত ছিল। দুপুর ২টা নাগাদ এসএফআই ও ছাত্র পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই ঘটনায় দুই পক্ষেরই কয়েকজন জখম হন। দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে কলেজে অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন সূর্য সেন কলেজেও ফের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। সেখানেও দুই পক্ষের ৪ জন জখম হন। বুধবারও সূর্য সেন কলেজে টিএমসিপি এবং এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ, এসএফআইয়ের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সৌরভ দাস, সভাপতি সৌরভ সরকারের নেতৃত্বে হাসমিচক অবরোধ শুরু করে এসএফআই। ট্রাফিক পুলিশের ব্যারিকেড টেনে নিয়ে গিয়ে চৌমাথার চারটি মুখ বন্ধ করে দেন এসএফআই সমর্থকরা। ফলে শহরের সবগুলি রাস্তাতে যান বন্ধ হয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশের সামনে তাদের ব্যারিকেড টেনে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁরা কোনও প্রতিবাদ করেননি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দার্জিলিং জেলা সভাপতি কুন্তল রায় বলেন, “আতঙ্ক ছড়াতে এসএফআই হামলা করে। পরে নিজেরাই হাসমিচকে অবরোধ করে। অবরোধের জেরে মানুষকে চরম হয়রানির মুখে পড়তে হয়।” |
|