|
|
|
|
একশো দিনের কাজে নালিশের বিচার করতে ওমবুডসম্যান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠছে দীর্ঘ দিন ধরেই। আবেদন করেও কাজ মেলে না, মজুরি দিতে ঢিলেমি করে প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের নেতারা জব কার্ড রেখে দেন, মাস্টার রোলে ভুয়ো নাম এমন নানা অভিযোগ রয়েছে। এই ধরনের অভিযোগের বিচারের জন্য ‘ওমবুডসম্যান’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই এই নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর। পশ্চিমবঙ্গে ৭ জন ওমবুডসম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। ওই ৭ জনই ১৯টি জেলায় একশো দিনের কাজ প্রকল্প সংক্রান্ত নানা অভিযোগের বিচার করবেন।
কী ধরনের অভিযোগ আসতে পারে, কী ভাবে তার বিচার হবে, তার জন্য ওমবুডসম্যানরা কত টাকা পাবেনসবই নির্দেশিকায় জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। একশো দিনের প্রকল্প অফিসের কাছাকাছি যাতে ওমবুডসম্যানের অফিস হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যে কোনও মানুষ বা সংস্থা এখানে অভিযোগ জানাতে পারেন। এত দিন এই প্রকল্প সংক্রান্ত অভাব-অভিযোগের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হতেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সে সবের সুরাহা হত না বলেই অভিযোগ।
এ বার তাই নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জন্য ওমবুডসম্যান নিয়োগ করা হয়েছে শ্যামলেন্দু পালকে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদের জন্য উজ্জ্বলকান্তি দাস, দুই দিনাজপুর ও মালদহের জন্য শৈলেশ তালুকদার, হাওড়া, বীরভূম ও বাঁকুড়ার জন্য তারকেশ্বর মিশ্র, দুই চব্বিশ পরগনার জন্য মহম্মদ বদরুদ্দিন ও উত্তরবঙ্গের বাকি চারটি জেলার জন্য অশোক মাইতিকে ওমবুডসম্যান হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এঁরা প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি জেলায় দু’দিন করে অফিসে বসবেন। বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। প্রথমে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হবে একশো দিনের প্রকল্প আধিকারিককে। ৭ দিনের মধ্যে প্রকল্প আধিকারিককে অভিযোগের সত্যাসত্য জানাতে হবে। তার পরেই সে ক্ষেত্রে কী করণীয় জানাবেন ওমবুডসম্যান। প্রতিটি ক্ষেত্রে ওমবুডসম্যানদের জন্য ৫০০ টাকা করে ফি নির্দিষ্ট করেছে সরকার। তবে কোনও বিষয়ে ট্রাইবুনাল বা আদালতে বিচারাধীন থাকলে তা ওমবুডসম্যানদের কাছে বিচারের জন্য পাঠানো যাবে না। এই প্রক্রিয়ার ফলে একশো দিনের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখা সম্ভব হবে বলেই অনুমান। |
|
|
|
|
|