উচ্চশিক্ষার নীতি, নিয়োগে পরামর্শ দিতে কমিটি
রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল নতুন সরকার। সেই লক্ষ্যেই অবশেষে উপদেষ্টা কমিটি গড়ল তারা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ থেকে পঠনপাঠন সব ব্যাপারেই ওই কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
১০ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রবীণ শিক্ষক সুনন্দ সান্যালকে। অন্য সদস্যেরা হলেন অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী, আইআইএম-কলকাতার অধ্যাপক অনুপ সিংহ, আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধিকর্তা সুশান্ত দত্তগুপ্ত, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুগত বসু, আইএসআই-এর অধ্যাপক অভিরূপ সরকার, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক জেতা সাংকৃত্যায়ন, বিধাননগর সরকারি কলেজের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক অশোকেন্দু সেনগুপ্ত এবং প্রাক্তন আমলা দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। আগামী ১৪ জুন কমিটির প্রথম বৈঠক।
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৃহস্পতিবার বলেন, “রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নীতি নির্ধারণের যাবতীয় ব্যাপারে পরামর্শ দেবে এই কমিটি। নিয়োগ নিয়েও সুপারিশ করবে। কমিটির পরামর্শ খতিয়ে দেখে আইনসম্মত ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার।” তবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে-হেতু পৃথক ‘মেন্টর গ্রুপ’ গড়া হয়েছে, তাই ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে এই উপদেষ্টা কমিটি কোনও সুপারিশ করবে না বলেও জানান ব্রাত্যবাবু।
একই সঙ্গে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন যে, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ওই কমিটির সরাসরি কোনও ভূমিকা থাকবে না। তবে প্রয়োজনে কমিটির পরামর্শ অনুসারে সেনেট, সিন্ডিকেট ইত্যাদি পুনর্গঠন করা হতে পারে।
এ দিকে, সুনন্দবাবু ওই কমিটির নেতৃত্ব দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, “আমি ওই দায়িত্ব নেব না। যোগ্যতর কাউকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হোক। তবে কমিটির সাধারণ সদস্য থাকতে রাজি আছি।” সুনন্দবাবুর এই প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ব্রাত্যবাবু বলেন, “উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এই ব্যাপারে আমি কিছু বলব না।”
উচ্চশিক্ষার নানা বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য উচ্চশিক্ষা সংসদ রয়েছে। সেটি রাজ্য সরকারেরই সংস্থা। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং আমন্ত্রিত শিক্ষকেরা তার সদস্য। নতুন উপদেষ্টা কমিটি কি তার সমান্তরাল হিসাবে কাজ করবে?
জবাবে ব্রাত্যবাবু বলেন, “উচ্চশিক্ষায় পরামর্শ দানের কাজ মূলত এই উপদেষ্টা কমিটিই করবে। তবে উচ্চশিক্ষা সংসদ অকেজো হয়ে যাবে কি না, তা পরে ঠিক হবে।”
রাজ্যে উচ্চশিক্ষার হালহকিকত বিচার করে কোন কাজটাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলবেন?
উপদেষ্টা কমিটির বেশির ভাগ সদস্যই এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে আগ্রহী নন। তাঁদের বক্তব্য, দায়িত্বটা যখন যৌথ, তখন সবাই মিলে আলোচনা করেই কর্মসূচি ঠিক করা উচিত। তবে তারই মধ্যে কেউ কেউ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে চান। অভিরূপ সরকার চান, টিউশনের রমরমা কমুক। আর শুধু প্রেসিডেন্সিকেই যেন উচ্চশিক্ষার প্রতীক করা না-হয়। আরও অনেক প্রতিষ্ঠানেরও সুদিন ফিরিয়ে আনা দরকার। সুশান্ত দত্তগুপ্ত মনে করেন, কলেজগুলিতে যাতে নিয়মিত ক্লাস হয়, সবার আগে সেটাই দেখা উচিত। জেতা সাংকৃত্যায়ন বিশেষ ভাবে
চিন্তিত উত্তরবঙ্গের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাল নিয়ে। বিভিন্ন পরিকল্পনার পাশাপাশি তিনি চান, শিল্প সংস্থাগুলি এক বা একাধিক কলেজের দায়িত্ব নিক।
Previous Story Rajya Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.