|
|
|
|
সিপিএম নেতা প্রহৃত বারাবনিতে |
ওন্দায় সংঘর্ষে জখম ৫, গ্রেফতার ১১ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
রাজনৈতিক সংঘর্ষ, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় অশান্তি ছড়াল দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়।
বাঁকুড়ার ওন্দা থানার লয়াদা গ্রামে এক কিশোরীকে কটূক্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষ বাধে বুধবার দুপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের পাঁচ জন জখম হয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনায় অভিযুক্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক ১০ জনকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতদের মধ্যে এক জন কলেজ ছাত্র। সামনে পরীক্ষা থাকায় তাঁর জামিনের আবেদন বিচারক মঞ্জুর করেন। তৃণমূল সমর্থক, দশম শ্রেণির ছাত্রী রূম্পা ঘোষ অভিযোগ করেন, গ্রামেরই এক যুবক তাঁর উদ্দেশে কটূক্তি ও অশালীন আচরণ করে। বাড়ি ফিরে সে ঘটনার কথা জানায়। তার পরেই গ্রামে দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। |
|
বলরামপুরে সিটুর অফিসে ভাঙচুর।- সুজিত মাহাতো। |
এ দিকে, বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের বারাবনিতে বারবানি ২ লোকাল কমিটির সম্পাদক তীর্থঙ্কর পাত্রের উপরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তৃণমূল অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
তীর্থঙ্করবাবুর অভিযোগ, এ দিন সকালে কয়েক জন দলীয় সমর্থককে নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে কাপিষ্টা ও মদনপুরের মাঝামাঝি এলাকায় কয়েক জন যুবক তাঁদের উপরে চড়াও হয়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তীর্থঙ্করবাবুর অভিযোগ, “হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূলের কর্মী।” মারধরের পরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তীর্থঙ্করবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেন, অবৈধ কয়লা কারবারিদের সঙ্গে আয় ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ দিন দুপুরে সিটুর পুরুলিয়া জেলা মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স ইউনিয়নের বলরামপুর শাখা কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ওই শাখার সম্পাদক সুদীপ মাঝির অভিযোগ, “১২টার পরে সকলে অফিস থেকে চলে গিয়েছিলেন। পরে খবর পাই, অফিসে হামলা হয়েছে। গিয়ে দেখি, অফিসের দরজা ভাঙা। জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।” তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের বলরামপুর ব্লক সভাপতি সৃষ্টিধর মাহাতোর অবশ্য দাবি, “সিটুর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমন ঘটেছে।” |
|
|
|
|
|