|
|
|
|
তৃণমূলের অত্যাচারে ত্রস্ত গৃহস্থ চিঠি দিল মমতাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²কলকাতা |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভোটের পরে ‘বদলা’ নেওয়া চলবে না। পুলিশও আর ‘দলদাস’ হয়ে কাজ করবে না। সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুরের একটি পরিবারের উপরে এলাকার তৃণমূলকর্মীরা অত্যাচার চালাচ্ছে বলে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ, ওই পরিবারের একটি মেয়ের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ অভিযোগ পেয়েও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন পরিবারের লোকজন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, “বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী অফিসারকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।” অভিযোগকারী নির্মল প্রামাণিক ১৯৭৭-এ বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কুলেরদাঁড়ি পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য ছিলেন। বাড়ি রামমাখালেরচকে। এ দিন তিনি বলেন, “১৩ মে ফল বেরোনোর পর থেকে এলাকার কয়েক জন তৃণমূলকর্মী বাড়ির সামনে বোমা ফাটাতে থাকে। তারাই আমার মেয়ে ও স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে।” তিনি থানায় অভিযোগ জানান। নির্মলবাবুর অভিযোগ, “পুলিশকে জানানোর পরে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। আমার স্ত্রীকে খুনেও চেষ্টা হয়। আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আমরা বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হই। ১৫ দিন বাইরে থাকার পরে সাত দিন আগে বাড়ি ফিরেছি।” নির্মলবাবুর ছোট মেয়ে সুপ্রিয়া প্রামাণিকও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বুধবার তিনি পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে হামলার বিষয়টি জানান। সুপ্রিয়ার বক্তব্য, “অত্যাচার বন্ধ হয়নি। অভিযুক্তেরা এলাকাতেই ঘুরছে।”
নির্মলবাবু বিষয়টি জানিয়েছেন এলাকার তৃণমূল নেতাদেরও। কুলেরদাঁড়ি পঞ্চায়েত প্রধান, তৃণমূল নেতা দেবাশিস নস্কর বলেন, “নির্মলবাবু সিপিএম করতেন। এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি করেছিলেন। তাই হামলা হচ্ছে। হতেই পারে।” নির্মলবাবু এবং তাঁর মেয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তারা সবাই ‘ভাল ছেলে’ বলে দাবি করেছেন দেবাশিসবাবু। তাঁর বক্তব্য, “মেয়েটি ভাল নয়। আমাদের ছেলেদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ মিথ্যা।” |
|
|
|
|
|