|
|
|
|
ব্যবসায়ীর মৃত্যুর জেরে অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² বনগাঁ |
জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটল এক যুবকের। যার জেরে মৃতদেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বনগাঁয় যশোহর রোড অবরোধ করেন মৃতের পরিবার-পরিজন। গ্রাংমবাসীরাও যোগ দেন তাতে। তাঁদের দাবি, ওই ব্যক্তিকে খুন করা হলেও সেই অভিযোগ নিতে চায়নি থানা। রাতে অবশ্য বনগাঁর এসডিপিও বিমলকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে অশোকনগর থানার চাপড়া-টালিখোলা এলাকায় রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় অনিল সরকার (৩৬) নামে ওই ব্যক্তির দেহ। তাঁর বাড়ি বনগাঁর জয়ন্তীপুরে। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায়ী অনিলবাবু সোমবার বিকেলে স্ত্রী শ্যামলী এবং দুই ছেলেকে নিয়ে অশোকনগরের আশুদি গ্রামে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। বুধবার রাতে হঠাৎই বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান অনিলবাবু। সকালে রাস্তার ধারে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশে বাইকটিও পড়ে ছিল। তাঁর আত্মীয় সুকুমার রায় বলেন, “ওঁর কানে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। আমাদের সন্দেহ, ওঁকে খুন করা হয়েছে।” অনিলের দাদা নেপাল জানান, কেউ বা কারা রাতে টেলিফোন করে ডাকে ভাইকে। তারপরেই তিনি বেরিয়ে যান বাড়ি থেকে। অশোকনগর থানা খুনের অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। যদিও থানার তরফে সে কথা স্বীকার করা হয়নি।
এ দিন বারাসত হাসপাতালে ময়না-তদন্তের পরে সন্ধে ৬টা নাগাদ দেহ এনে জয়ন্তীপুরে যশোহর রোডের উপরে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় মানুষ। পণ্যবাহী ট্রাক, যানবাহন আটকে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসেন এসডিপিও বিমলকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জার। তিনি এসডিপিওকে বিষয়টি দেখতে বলেন। পুলিশের আশ্বাসে রাত ৯টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। দেহ নিয়ে লোকজন যান অশোকনগর থানায়। ফরেন্সিক তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন মৃতের আত্মীয়েরা। |
|
|
|
|
|