|
|
|
|
ক্ষতিপূরণের দাবিতে বন্ধ জলপ্রকল্প |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²বিল্বপুষ্করিণী |
তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করেই গড়ে উঠেছিল পরিশ্রুত পানীয় জলের প্রকল্প। কিন্তু জমির বকেয়া টাকা হাতে না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত পরিশোধিত সেই জল প্রকল্পটিই বন্ধ করে দিলেন গ্রামীণ মানুষ।
ফলে বহির্দ্বীপ এবং বলাই নগর গ্রামের আঠারো জন চাষির ক্ষোভের ‘শিকার’ হয়েছেন কৃষ্ণনগর ২ এবং নবদ্বীপ ব্লকের বিস্তৃর্ণ এলাকার প্রায় দু লক্ষাধিক মানুষ। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, স্থানীয় কৃষকেরা ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজই বন্ধ করে দেওয়ায় আপাতত জল সরবরাহ করাই বন্ধ রাখতে হয়েছে তাঁদের। ওই দফতরের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার শুভ্র গোস্বামী বলেন, “ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রায় জোর করেই বন্ধ করে দিয়েছেন ওঁরা। কী করে জল দেব গ্রামে?”
স্থানীয় বিধায়ক তথা যুবকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “বিগত সরকার কেন ওই চাষিদের ক্ষতিপূরণের টাকা দিল না তা বুঝতে পুারছি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। ওঁদের পাওনাও তো মেটাতে হবে। তবে পরিশোধিত জল যাতে দ্রুত সরবরাহ করা যায় তার চেষ্টা করছি।” ওই দু’টি গ্রামে পরিশোধিত জল সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য দফতর যে প্রকল্পটি গড়ে সেখানে যাতায়াতের জন্য রাস্তা তৈরি করতে বছর দুয়েক আগে স্থানীয় ১৮ জন কৃষকের কাছ থেকে বেশ কিছুটা জমি নিয়েছিল তৎকালীন সরকার। উদ্দ্যেশ্য ছিল প্রকল্পে যাওয়ার রাস্তা নির্মাণ। সে বাবদ ওই চাষিদের ক্ষতিপূরণের কথাও সে সময়ে ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে প্রকল্পের উদ্বোধনও করে গিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও সেই বকেয়া টাকা পাননি ওই কৃষকেরা। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপি-র উদয় মণ্ডল বলেন, “পরিশোধিত পানীয় জল যেমন দেওয়া যাচ্ছে না তেমনই চাষিরাও তো বকেয়া টাকা পাননি। সে ব্যাপারটাও তো দেখতে হবে।” আর অতিরিক্ত জেলাশাসক রোশনি কোমল বলেন, “ক্ষতিপূরণ দেওয়া দীর্ঘ প্রক্রিয়া। বললেই সঙ্গে সঙ্গে টাকা তুলে দেওয়া যায় না। তবে যতটা সম্ভব দ্রুত ওই টাকা কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|