|
|
|
|
কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² বহরমপুর |
পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পরে কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ। সিপিএমের দখলে থাকা মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদে কর্মাধ্যক্ষদের বিরুদ্ধে একের পর এক অনাস্থা আনা শুরু করেছে কংগ্রসে। বুধবার তারা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের সোমনাথ সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। এ বার সেই তালিকায় সংযোজন ঘটল কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ রঘু নন্দীর। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে সভাধিপতি পূণির্মা দাসকে বৃহস্পতিবার চিঠি দিল কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের বিরোধী দলনেতা বানি ইসরাইল বলেন, “জেলাপরিষদের ৯টি স্থায়ী সমিতিতেই দুর্নীতি চলছে। বিরোধী দলকে কোনও আমল দেওয়া হয় না। বিরোধী দলকে অন্ধকারে রেখে একতরফা ভাবে স্থায়ী সমিতিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে গত তিন বছর ধরে দুর্নীতি করে চলেছেন ওই ৯টি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা। ওই দুর্নীতি ও দলবাজি রুখতে স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে অপসারণ করানো হবে।” এখন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৫ থেকে ১৪। কংগ্রেসের সামনে সুযোগ এসেছে জেলাপরিষদের ৯টি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের সরিয়ে দেওয়ার। সেই মত ‘দুর্নীতি’ রুখতে স্থায়ী সমিতির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ওই সব কটি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদে অর্থ-সহ মোট ১০টি স্থায়ী সমিতি রয়েছে। তার মধ্যে পূর্ত, কৃষি ও সেচ, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, শিশু ও নারী উন্নয়ন, ভূমি, মৎস্য, খাদ্য, ক্ষুদ্রশিল্প স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জানিয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। যেহেতু স্থায়ী সমিতিগুলিতে সদস্য সংখ্যার দিক থেকে এই মুহূর্তে বামফ্রন্ট সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। বর্তমানে কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৫৬ জন, অন্য দিকে বামফ্রন্টের ৫২। ফলে ৯টি স্থায়ী সমিতি দখল এখন কংগ্রেসের কাছে সময়ের অপেক্ষা মাত্র। বানি ইসরাইল বলেন, “অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই সভাধিপতিকে সভা ডাকতে হবে। তিনি সভা না ডাকলে আমরা তলবি সভা ডেকে স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের অপসারিত করব।” জেলাপরিষদের ৯টি স্থায়ী সমিতিতেই আমরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন সভাধিপতি পূর্ণিমা দাস। তিনি বলেন, “কংগ্রেস অনাস্থা প্রস্তাব আনলে নিয়ম মতো যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তাই নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|