|
|
|
|
বেলপাহাড়ির গ্রামে শবরের মৃত্যুতে ধন্দ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²বেলপাহাড়ি |
একে বেলপাহাড়ির গ্রাম, তার উপর শবর সম্প্রদায়ভুক্ত এক জনের মৃত্যু। সন্দাপাড়া পঞ্চায়েতের টুমকাশোল গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুখু শবর নামে বছর সত্তরের এক জনের মৃত্যুর পরে আমলাশোলের স্মৃতি টেনে কোনও কোনও মহল থেকে ফের ‘অনাহার-মৃত্যু’র প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। দুখুর স্ত্রী লক্ষ্মীদেবী অবশ্য জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন স্বামী। দু’দিন আগে খালের জলে স্নান সেরে ফেরার পথে পড়ে গিয়ে বুকে আঘাত পান। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাত খাওয়ার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। লক্ষ্মীদেবী জানান, একই বাড়িতে থাকলেও ছেলে হরেন স্ত্রী-পুত্রদের নিয়ে আলাদা। বৃদ্ধ দম্পতিকে দিনমজুরি করতে হত। স্থানীয় একটি পাথর খাদানে ঠিকা শ্রমিকেরও কাজ করতেন দুখু। লক্ষ্মীদেবী বলেন, “টানাটানির সংসারের পেটভরা খাবার সব দিন জুটতো না। রেশনেও মালপত্র কম মেলে।”
|
ব্লক প্রশাসনের বক্তব্য, দুখু ও লক্ষ্মীদেবী বার্ধক্য ভাতা-প্রাপক। গত ডিসেম্বরে শেষ ভাতা পেয়েছেন। ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়িও রয়েছে। রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন যোজনায় বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। রয়েছে শবরদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার হেল্থ কার্ড। প্রশাসনের আরও দাবি, ব্লক অফিস ও সন্দাপাড়া পঞ্চায়েত থেকে নিয়মিত রিলিফের চাল ও টাকাও দেওয়া হত দুখুকে। গত সপ্তাহেও রিলিফের টাকা পেয়েছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের ধনঞ্জয় পাতর বলেন, “এর আগেও বেশ কয়েক বার অসুস্থ দুখুবাবুকে মোটরবাইকে চিকিৎসার জন্য বেলপাহাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছি। এ বার এক হাতুড়ে চিকিৎসা করছিলেন।” |
|
|
|
|
|