|
|
|
|
গোপীবল্লভপুর |
অনার্সের আসনে বিভ্রান্তি কলেজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²ঝাড়গ্রাম |
গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা কলেজে অনার্সের কোন কোন বিষয়ে কত আসন--তা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন উচ্চ-মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হতে আসা ছাত্রছাত্রীরা। স্নাতকস্তরে ভর্তির প্রসপেক্টসে অনার্সের বিষয়-ভিত্তিক আসন সংখ্যার উল্লেখ নেই। তবে কলেজের নোটিস বোর্ডে ভারপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকার স্বাক্ষরিত ৭ জুনের একটি নোটিসে অনার্সের আসনসংখ্যা বলা হয়েছে--বাংলায় ৪৪, ইংরাজিতে ২৫, ইতিহাসে ৪৪, ভূগোলে ৩৯, সংস্কৃতে ৩৯, হিসাবশাস্ত্রে ৫০ এবং সাঁওতালিতে ৩৩টি। কিন্তু বিতর্ক তৈরি হয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রনাথ বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত এক তালিকা ঘিরে। গত ২ জুন ভর্তি সংক্রান্ত এক বৈঠকের পরে বামবিরোধী ‘ছাত্র ঐক্য’-র প্রতিনিধিদের হাতে যে তালিকা অধ্যক্ষ দিয়েছিলেন তাতে অনার্সের আসনসংখ্যা বলা হয়েছিল--বাংলা (৪৪), ইংরাজি (২২), ইতিহাস (৫০), ভূগোল (৪৪), সংস্কৃত (৩৩), হিসাবশাস্ত্র (৫০) এবং সাঁওতালি (৫০)। কলেজের ছাত্রসংসদে কোনও ছাত্র সংগঠন না থাকায় প্রতি বছর কর্তৃপক্ষের তরফে ভর্তির সময়ে স্থানীয় ছাত্র সংগঠনগুলিকেই বিষয়-ভিত্তিক আসন সংখ্যা জানানো হয়। সেই মতোই অধ্যক্ষ তালিকা দিয়েছিলেন। ৩ জুন থেকে অধ্যক্ষ অসুস্থ হয়ে ছুটিতে গিয়েছেন। আর তার পরেই দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সুবলচন্দ্র জানা বলেন, “কয়েকটি বিষয়ে আসন বাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এখনও অনুমোদন পাইনি।” ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ব্যাপারে কমিটি গড়ে আলোচনার আশ্বাস অবশ্য দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা। অন্য দিকে, কলেজের নথি থেকে জানা যাচ্ছে, গত বছর বাংলায় ৪৫, ভূগোলে ৪৪ এবং সংস্কৃতে ৪০ জনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়েই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। শিক্ষকদের একাংশই জানাচ্ছেন, কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। বছর চারেক আগে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে একতরফা ভাবে এসএফআইকে জেতানোর অভিযোগও উঠেছিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত নির্বাচন বাতিল করে। তার পর আর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি এই কলেজে। আজ পর্যন্ত কলেজে বিজ্ঞান শাখাও চালু না-হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে। |
|
|
|
|
|