|
|
|
|
কিশোরী পরিচারিকার দগ্ধ দেহ উদ্ধার, নালিশ খুনের
|
নিজস্ব সংবাদদাতা ²মেদিনীপুর |
অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়্গপুর শহরের রবীন্দ্রপল্লি এলাকায়। মৃতার নাম সুলোচনা সিংহ ওরফে বুল্টি (১৪)। পুলিশ জানিয়েছে, সুলোচনার বাড়ি খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকার বেনাপুর গ্রামে। গরিব পরিবারের সন্তান। তাই রবীন্দ্রপল্লির জনৈক অমল শিকদারের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত। ওই বাড়িতে অমলবাবু ও তাঁর স্ত্রী শান্তিদেবী থাকতেন। তাঁরা দু’জনেই অসুস্থ। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ অমলবাবু চিৎকার করে পাড়ার লোকেদের ডাকেন। জানান যে, তাঁদের পরিচারিকা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পাড়ার সবাই এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে অবশ্য মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।
এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তোলেন, ওই কিশোরীকে খুন করে তার পর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন অমলবাবুই। অমলবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি জানান স্থানীয় মানুষ। কিশোরীর সৎমা কল্পনা সিংহ ও জ্যাঠাইমা কুলো সিংহও চলে আসেন। তাঁদেরও অভিযোগ, “আমাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে।” পুলিশ অমলবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির ছাদে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পর গায়ে আগুন লাগানো হয়েছিল নাকি জীবিত অবস্থায় আগুন লেগেছিল তা জানতে কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। ওই কিশোরী নিজেই গায়ে আগুন লাগিয়েছিল নাকি বাড়ি মালিক আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিশোরীর জ্যাঠাইমা বলেন, “বুল্টি বাড়ি গেলেই বলত, শান্তিদেবী তাঁর উপর অত্যাচার করেন। কাজে ভুল হলেই বকাবকি করতেন।” আর সৎমা বলেন, “আমি যখন টাকা নিতে আসতাম তখন মেয়ে শুধু আমাকে বলত, এই বাড়িতে থাকব না। এখন বুঝতে পারছি, মেয়ের উপর নির্যাতন হত। বাবুরা এ ভাবে আমার মেয়েকে মেরে ফেলবেন বুঝতে পারিনি।” |
|
|
|
|
|