|
|
|
|
উমা ফেরায় দলে অসন্তোষ বাড়ছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিজেপিতে উমার ফেরা নিয়ে খুশি নন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একটি বড় অংশ। অসন্তোষের মাত্রা বাড়ছে উমার নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশ ও ভবিষ্যৎ ‘কর্মভূমি’ উত্তরপ্রদেশের নেতাদের মধ্যেও। সকলের অসন্তোষ মিটিয়ে দলে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ উমার।
উমাকে দলে ফিরিয়ে আনার ঠিক আগে বিজেপির কোর গ্রুপের যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে সুষমা স্বরাজ থেকে অরুণ জেটলি— সকলেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন। বিজেপির এই নেতারা এখনও মনে করেন, উমাকে ফিরিয়ে আনার ঝুঁকির খেসারত দিতে হবে দলকে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান আজ দিল্লিতে থাকলেও দেখা করেননি উমার সঙ্গে। কিন্তু গোড়া থেকেই লালকৃষ্ণ আডবাণী আর নিতিন গডকড়ী উমাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছিলেন। দেড় বছর ধরে এই সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখায় গডকড়ীর কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেন খোদ সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও। শেষ পর্যন্ত লখনউয়ের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেই গডকড়ী জানান, দিল্লি ফিরেই বিজেপিতে ফেরানো হবে উমাকে।
সমালোচনা বন্ধ করতেই উমা এখন বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করে ‘আশীর্বাদ’ নিচ্ছেন। জেটলির সঙ্গেও আজ দেখা করেন তিনি। কিন্তু প্রকাশ্যে তাঁর আগমনকে স্বাগত জানালেও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বড় অংশ মনে করছেন, উমাকে সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের পরিকল্পনা করলেও তাঁকে সেখানে বেঁধে রাখা মুশকিল। সামনের বছর ভোট হয়ে গেলে উমা ফের মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে নাক গলাবেন। বিজেপির এক উদারপন্থী নেতার কথায়, “এনডিএ-র প্রসার ঘটাতে গেলে বিজেপিকে এখন উগ্র হিন্দুত্বের পথ ছাড়তেই হবে। অথচ প্রচার শুরু করলে উমা গোঁড়া হিন্দুত্বের ভাবনাকে উস্কে দেবেনই। সে ক্ষেত্রে দলকে খেসারত দিতে হবে।” তাঁর কথায় বরুণ গাঁধীকে নিয়েও দলের এই সমস্যা হয়েছিল।
কিন্তু গডকড়ী ঘনিষ্ঠ শিবিরের মতে, “দেড় বছর ধরে প্রশ্নগুলি তোলা হচ্ছে। তবুও সভাপতি উমাকে দলে ফিরিয়েছেন। পাঁচ বছর আগের উমার সঙ্গে এখনকার উমার অনেক ফারাক। দলের বাইরে থেকে তিনি বুঝেছেন, বিজেপি ছাড়া গতি নেই। তাই এমন কোনও পদক্ষেপ তিনি করবেন না, যাতে ফের শাস্তির মুখে পড়তে হয়।” উমা বিতর্কে জড়াতে নারাজ। তিনি বলেন, “কাল গঙ্গোত্রী যাচ্ছি। ১৪ তারিখে ফিরে যা বলার বলব।” |
|
|
|
|
|