কর্মী নিয়োগ নিয়ে এ বার অনিয়মের অভিযোগ জীবনবিমা নিগমের বিরুদ্ধে।
কোটা থাকা সত্ত্বেও ‘গ্রুপ ডি’ পদে প্রাক্তন সৈনিকদের নিয়োগ করছে না জীবনবিমা নিগম। আগামী ২৬ জুন তাঁদের বাদ দিয়েই ওই পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এতে প্রাক্তন সৈনিকদের নিয়োগ করার ব্যপারে আইন ভাঙা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছে এলআইসি এক্স-সার্ভিসমেন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। এ ব্যাপারে অবশ্য বিশদে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জীবনবিমা নিগমের পূর্বাঞ্চলের জোনাল ম্যানেজার এস কে রায়। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ যেমন বলেছেন, আমরা সেই রকমই কাজ করছি। মনে হয়, তফসিলি জাতি এবং উপজাতির ক্ষেত্রে যে ভাবে নিয়োগে সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে সেই ভাবে প্রাক্তন সৈনিকদের জন্য তা নেই।”
তবে রায় ওই কথা বললেও জীবনবিমার নিজস্ব সরকারি সার্কুলারে -ই স্পষ্ট বলা আছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে করণিকদের মোট খালি পদের ১৪.৫% এবং গ্রুপ ডি পদের ২৪.৫% প্রাক্তন সৈনিকদের দিয়ে পূরণ করতে হবে। ওই ২৪.৫ শতাংশের মধ্যে ২০% প্রাক্তন সৈনিকদের জন্য এবং ৪.৫% শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রাক্তন সৈনিকদের জন্য নির্দিষ্ট। উপযুক্ত প্রার্থী না-পাওয়া গেলে তবেই তা সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা যাবে।
জীবনবিমায় গত প্রায় ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে গ্রুপ ডি পদে প্রায় ৫ হাজার কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ একজন প্রাক্তন সৈনিককেও ওই পদে নিয়োগ করেননি বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন সৈনিকদের ওই সংগনের সম্পাদক অরুণ চৌধুরী। সকলেই নিযুক্ত হয়েছেন অস্থায়ী ভাবে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে। পরে তাঁদের মাসিক বেতনের ব্যবস্থা চালু করা হয়। এ বার স্থায়ী কর্মীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। মামলাও করেছেন বিভিন্ন আদালতে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওই সব কর্মীকে স্থায়ী পদে নিয়োগের জন্যই জীবনবিমা নিগম পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। যেটা হওয়ার কথা আগামী ২৬ জুন। কিন্তু ওই পরীক্ষায় বসার জন্য কোনও প্রাক্তন সৈনিককে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ প্রাক্তন সৈনিকদের ওই সংগঠনের।
অরুণবাবু বলেন, “পরীক্ষায় প্রাক্তন সৈনিকদের না-ডাকা হলে আদালতে যাব। প্রাক্তন সৈনিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে তৈরি সৈনিক বোর্ডে বহু উপযুক্ত প্রার্থী নাম নথিভুক্ত করেছেন।” |