|
|
|
|
বীজ বিলি করতে গিয়ে ঘেরাও আধিকারিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²ময়ূরেশ্বর |
নিয়ম নীতি মেনে কাজ করতে গিয়ে চাষিদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন কয়েক জন সরকারি কর্মী। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে ময়ূরেশ্বরের খরাসিনপুর গ্রামে। ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের কৃষি দফতর থেকে এ দিন কানাচি পঞ্চায়েতের সাতটি মৌজায় চাষিদের মধ্যে বিনামূল্যে ধানের বীজ বিলি করার কথা ছিল। সেই মতো কৃষি দফতর সাতটি মৌজার ১ হাজার হেক্টর জমির চাষিদের বাছাই করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে নিয়ে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন জন কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক, ব্লক কৃষি আধিকারিক ওই কাজে নিযুক্ত ছিলেন। খরাসিনপুরে শিবির করে সাতটি মৌজার চাষিদের ধানের বীজ বিলি করা হচ্ছিল। কিন্তু ওই গ্রামের চাষিরা তালিকায় ছিলেন না। তাই চাষিদের একাংশ দাবি জানাতে থাকেন, তাঁদের গ্রামের চাষিরা এক্ষেত্রে বাদ গেলেন কেন? এই নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে চাষিদের বাদানুবাদ হয়। পরে বাসিন্দারা ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক কৃষি আধিকারিককে ঘেরাও করেন। তিনি কোনও ক্রমে তিন জনের মধ্যে এক জন কর্মীকে নিয়ে পালিয়ে আসেন। চাষিরা বাকি দুই কর্মীকে আটকে রাখেন। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। রামপুরহাট মহকুমা কৃষি আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার বলেন, “ওই গ্রামের বেশ কিছু এলাকায় গত বছর খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী খরা কবলিত এলাকায় ধানের বীজ বিলি করা যাবে না। অন্য ভাবে সরকারি সুযোগ দেওয়ার কথা হয়েছিল। সে কথাও এ দিন ওই গ্রামের বাসিন্দাদের জানানো হয়েছিল। এমন কী ওই গ্রামের কিছু চাষি যাঁদের অন্য মৌজায় জমি রয়েছে, তাঁদেরও বীজ দেওয়ার কথা রয়েছে। তার পরেও সরকারি কর্মীদের যে ভাবে হেনস্থা করা হল, ভবিষ্যতে কী ভাবে কাজ করব তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।” ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের, কাজল সাহা বলেন, “নিয়ম মেনে কাজ চলছিল। খরায় যাঁদের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। বোঝানোর পরেও কেন এমন হল, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব।”
|
|
|
|
|
|