|
|
|
|
ঝিলু পঞ্চায়েতে আস্থা ভোট আজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²মঙ্গলকোট |
সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানকে সরাতে মঙ্গলকোটের ঝিলু-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠিতে সই করলেন তৃণমূলের উপপ্রধান। আজ, শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ ওই পঞ্চায়েতে ওই অনাস্থা প্রস্তাবের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মঙ্গলকোটের বিডিও দফতরের এক আধিকারিক। বিডিও মনিরুদ্দিন ফারুকি বলেন, “ঝিলু-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের একাংশ অনাস্থা প্রস্তাব এনে বেশ কিছু দিন আগে আমাকে চিঠি দেয়। পঞ্চায়েত প্রধান আস্থা ভোট না আনায় নিয়ম অনুসারে তলবি সভা ডাকা হয়েছে।”
গত বছর এপ্রিল মাসে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুলন মাঝির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন দলেরই সদস্য মোবেশ্বর মির্জা ও আদুরি বিবি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের তিন সদস্য ওরম্বা হাজরা, হাসিনা বিবি ও কল্যাণী সর্দার। অনাস্থা প্রস্তাবের দিন ওই পাঁচ জনের সঙ্গে প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, কংগ্রেসের গোলাম গাউস। কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের পঞ্চায়েত ভেঙে গিয়ে ক্ষমতায় আসে সিপিএম। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল সদস্যরাও। পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হন সিপিএমের কল্যাণী সর্দার এবং উপপ্রধানের পদ পান তৃণমূলের মোবেশ্বর মির্জা।
তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস-তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত ভাঙার কারণ ছিলেন সিপিএম নেতা ডাবলু আনসারি। তাঁর ভয়েই ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজের দলের প্রধানকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছিল। বর্তমানে ডাবলু জেল হাজতে। এই অবস্থায় তৃণমূল দুর্নীতি ও পঞ্চায়েতের কাজে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিডিওর কাছে চিঠি দেন। চিঠিতে সই করেন পঞ্চায়েতের বর্তমান উপপ্রধান মোবেশ্বর মির্জা ও কংগ্রেসের সদস্য গোলাম গাউস। তৃণমূলের মঙ্গলকোট বিধানসভা কেন্দ্রের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য লিয়াকৎ আলি বলেন, “ভোটে জিতে আমরা ২০০৮ সালে ঝিলু-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছিলাম। সিপিএম গায়ের জোরে দখল নিয়েছিল। ফের মানুষের ভোটে জিতে নির্বাচিতদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ করা হয়েছে।” সিপিএম অবশ্য এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের এক নেতার কথায়, “পঞ্চায়েত সদস্যরাই সেই সময়ে প্রধান বদল করতে উদ্যোগী হয়েছিল। আমরা নয়। এখন তো তৃণমূল গায়ের জোর দেখাচ্ছে।” |
|
|
|
|
|