|
|
|
|
পাশে শিক্ষকরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²হরিশ্চন্দ্রপুর |
অভাবের সংসারে কৃতী ছাত্রের পাশে এসে দাঁড়ালেন স্কুলের শিক্ষকেরা। রুজির টানে বাবা দিলাউর রহমান দীর্ঘ দিন ধরে ভিন রাজ্যে থাকলে সংসারে খুব সামান্য টাকাই পাঠাতে পারেন। বাড়িতে মা ছাড়াও রয়েছে দুই ভাই। ফলে দিনমজুরি করে অন্তত একবেলার অন্নসংস্থান করতে হয় তাঁকে। সেই চাপ সামলে এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে ৭৭.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুর হাই স্কুলের ছাত্র সাজেন আলি। এমন তাক লাগানো পরীক্ষার ফল সাজেন জানতে পেরেছেন সোমবার। পরীক্ষার ফল জানার জন্য গত শনিবার স্কুলেই যাননি তিনি। সাজেনের যুক্তি, ভাল ভাবেই যে পাশ করব, সেটা তো জানতামই। কিন্তু তার পরে কলেজে পড়াশোনার খরচ জোগাড় করব কোথা থেকে? সেই জন্যই পরীক্ষার ফল জানা নিয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না।” সোমবার স্কুলের শিক্ষকেরা সাজেনের বাড়িয়ে গিয়ে চাঁর হাতে মার্কশিট পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি কলেজে পড়ার ব্যাপারে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন। চণ্ডীপুরে সাজেনের বাড়ি বলতে ভাঙাচোরা একটি মাটির ঘর। ষষ্ঠ ও প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া দুই ভাইয়ের জন্য দিনমজুরির টাকায় একটি লণ্ঠন কিনেছেন সাজেন। সেটাতেই রাতে ভাইদের পাশে বসে পড়াশোনা করতেন তিনি। ভোর হতেই ছুটতে হত কাজের খোঁজে। প্রায়ই স্কুল কামাই হত। তা সত্ত্বেও সাজেনের প্রাপ্ত নম্বর ৩৮৮। তাঁর বিষয়ভিত্তিক নম্বর হল, বাংলায় ৬৮, ইংরেজিতে ৬৭, এডুকেশনে ৭৫, ভুগোলে ৯০ এবং দর্শনে ৮৮। স্কুলে এ বার সর্বোচ্চ নম্বর তারই। প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলি বলেন, “একটু ভাল পরিবেশ আর টিউশন পেলে সাজেন আরও ভাল ফল করত। অভাবের সংসার ও যে ফল করেছে তা প্রশংসনীয়।” সাজেন আলি বড় হয়ে শিক্ষক হতে চান। |
|
|
 |
|
|