|
|
|
|
হামলার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²মাথাভাঙা |
দুই মহিলা কাউন্সিলার-সহ তিন তৃণমূল নেতা-নেত্রীর উপর হামলার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মাথাভাঙায়। সোমবার রাতে মাথাভাঙা পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণী পোদ্দার ও কাউন্সিলর রিঙ্কু সাহার উপর হামলার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার দপুরে মাথাভাঙা শিববাড়ি লাগোয়া এলাকায় ওই মহকুমা তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেস সভাপতি আলিজার রহমানের উপর একদল দুষ্কৃতী চড়াও হন। কোনও ক্রমে পালিয়ে বাঁচেন আলিজার। সোমবার রাতেও একই ভাবে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচেন দুই মহিলা কাউন্সিলরও। মঙ্গলবার কল্যাণী দেবী ও রিঙ্কু দেবীর উপর হামলার চেষ্টায় জড়িতের গ্রেফতার দাবি করে মাথাভাঙা থানায় বিক্ষোভ দেখান মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। কল্যাণী দেবীর অভিযোগ, সহকর্মী কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে দলের এক কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে ফেরার সময় দু’জনের উপর হামলার চেষ্টা হয়। মদ্যপ অবস্থায় রাস্তা আটকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় এক দুষ্কৃতী। রাতেই পুরো বিষয়টি জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেছি।” তাঁর অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিলেও আসলে সিপিএমের লোক। মহকুমা তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের সভাপতি আলিজার রহমান অবশ্য সাফ বলেছেন, “দলে গুরুত্ব হারানো শহর ও ব্লক তৃণমূলের দুই নেতার মদতেই প্রতিটি ঘটনা হয়েছে। পুলিশকে সবই জানিয়েছি। এমনকী আমার উপর হামলার চেষ্টার সময় দলে গুরুত্ব না পাওয়া নজরুল হকও প্রকাশ্যে মদত দিয়েছেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছি।” নজরুল হক অবশ্য দাবি করেন, “আমি এখন দল করি না। অসুস্থতার জন্য বাড়িতে আছি। ভিত্তিহীন অভিযোগ ।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, দলের ভাবমূর্তি নষ্টে জড়িতদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেব। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। |
|
|
 |
|
|