|
|
|
|
বিতর্কে নাসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²মালদহ |
বাংলাদেশি আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিতর্কের মুখে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের প্রতিমন্ত্রী আবু নাসের খান চৌধুরী। মঙ্গলবার সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ভাগ্নি জামাই বাংলাদেশের নাগরিক ইউসুফ কাদরি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বিষয়টি নিয়ে সরকারি আধিকারিকরা প্রশ্ন তুলতেই মন্ত্রী অস্বস্তিতে পড়েন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “আমার খেয়াল ছিল না।” আর যাকে নিয়ে মন্ত্রীকে ঘিরে বিতর্ক উঠেছে সেই ভাগ্নি জামাই বলেন, “আমি এ সব কিছুই জানি না। মামা জোর করে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন।’’ মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক তরুণসিংহ রায় বলেন, “এ ভাবে সরকারি আধিকারিকদের বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকের থাকাটা উচিত হয়নি।” জেলাশাসক রাজেশ সিংহ কিছুটা এড়িয়ে বলেন, “মন্ত্রী জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে সমস্ত আধিকারিকদের ডাকতে বলেছিলেন। মন্ত্রী নির্দেশ জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের ডেকেছি। সেখানে মন্ত্রী কাকে নিয়ে এসেছিলেন সেটা আমি জানি না।” এ দিন সকালে গৌড় এক্সপ্রেসে মালদহ টাউন স্টেশনে পৌছন সুজাপুরের বিধায়ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের প্রতিমন্ত্রী আবু নাসের খান চৌধুরী। স্টেশনে হাজার খানেক কর্মী সমর্থকের ভিড় সামলে তিনি সোজা চলে যান কোতুয়ালিতে। সেখানে দাদা গনিখান চৌধুরীর সমাধিতে ফুল দিয়ে নিজের ঘরে ঢোকেন। ২৫ বছর পর কোতুয়ালিতে গনি পরিবারের সদস্য মন্ত্রী হওয়ায় সমর্থকরা আনন্দে মেতে ওঠেন। সকাল ১০টায় আবু নাসের খান সার্কিট হাউসে পৌঁছন। মন্ত্রীর অপেক্ষায় আগে থেকেই সেখানে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক সহ জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা সার্কিট হাউসে অপেক্ষা করছিলেন। সঙ্গে বাংলাদেশি ভাগ্নি জামাই বৈঠকে সদর মকুমাশাসকের পাশে বসেন। আপত্তি জানানোর জন্য উঠেও মন্ত্রীর ভয়ে এক আধিকারিক বসে পড়েন। ১১টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পুরো সময়টাই ইউসুফ কাদরি সেখানে বসেছিলেন। পরে আধিকারিকরা বাংলাদেশি ভাগ্নি জামাইকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই অস্বস্তিতে পড়ে যান। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে বিজ্ঞান, প্রযুক্তিকে উন্নত করার জন্য প্রতিটি জেলায় গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পলিটেকনিকের পাশাপাশি রাজ্যের সব স্কুলে ভোকেশনাল ট্রেনিং কোর্স চালু করা হবে।” |
|
|
 |
|
|