|
|
|
|
বেতন ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²কোচবিহার |
শিক্ষকদের মাস পয়লায় বেতন নিশ্চিত করতে জাতীয় ব্যাঙ্কের কোর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা যুক্ত শাখায় জিরো ব্যালান্সে অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে রাজ্যের প্রতিটি জেলার ডিআইদের উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিল স্কুল শিক্ষা দফতর। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টরের স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশ নামা বিভিন্ন জেলার ডিআই (সেকেন্ডারি) ও ডিআই (প্রাইমারী) দফতরে পৌঁছে গিয়েছে। ৩০ জুনের মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষকের ওই অ্যাকাউন্ট করার কাজ সম্পূর্ণ করে স্কুল শিক্ষা দফতরে যাবতীয় তথ্য জানানোর সময়সীমা নির্দেশনামায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের খবর, নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, কোনও অবস্থাতেই রাজ্যের প্রাথমিক ও হাইস্কুল শিক্ষকদের বেতন মাসের পয়লা দিনের পাওয়ার সমস্যার অবকাশ না রাখতে প্রত্যেক শিক্ষকের জাতীয় ব্যাঙ্কের কোর ব্যাঙ্কিং, পরিষেবা যুক্ত শাখায় জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট খোলা দরকার। সে কথা মাথায় রেখে ডিআইদের তিনটি কাজের উল্লেখও তাতে নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি দ্রুত তাদের অন্য সহকর্মীর ‘স্যালারি অ্যাকাউন্ট’ নম্বর সহ অন্য তথ্য জোগাড় করা। ওই সংক্রান্ত তথ্য বিভিন্ন সার্কেল অফিসে পাঠানোর তদারকি করা এবং ১ অগস্টেই প্রতিটি শিক্ষক যাতে জুলাইয়ের বেতন পেতে সমস্যায় না পড়েন সে ব্যপারে লিঙ্ক ব্যাঙ্ক, লিড ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ সহ যাবতীয় উদ্যোগও ডিআইদের নিতে হবে। কোচবিহার ডিআই মহাদেব শৈব বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো সব স্কুলে জাতীয় ব্যাঙ্কে কোর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা রয়েছে এমন শাখায় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জিরো ব্যালান্স স্যালারি অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মেনে সময়ে গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় হাইস্কুল ও প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। তাঁদের তিরিশ শতাংশের বেশি শিক্ষকের জাতীয় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই। কোর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা যুক্ত অ্যাকাউন্টের সংখ্যা আরও কম। কোচবিহারের সহকারি স্কুল পরিদর্শক দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “জেলার শিক্ষকদের একাংশের অ্যাকাউন্টে ওই সমস্যা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সরকারি নির্দেশ মেনে সমস্যা মেটানোর।” পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির কোচবিহার জেলা সম্পাদক শিশির সরকার বলেন, “জিরো ব্যালান্সে কোর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা থাকায় আকাউন্ট হলে ট্রেজারি থেকে সরাসরি বেতন ঢুকে যাবে। চেক ক্লিয়ারেন্সে সময় নষ্ট হবে না।” নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির তুফানগঞ্জ মহকুমার সহকারি সম্পাদক রণজিৎ সেন বলেন, “ট্রেজারি ও শিক্ষা দফতরের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আগেও আর্থিক বরাদ্দ আসার পরেও শিক্ষকরা সময় মতো বেতন পাননি। নতুন ব্যবস্থা সেদিক থেকে সুবিধেজনক বলে মনে হচ্ছে।” |
|
|
 |
|
|