|
|
|
|
আজ জেলা সভাধিপতি বাছতে বৈঠক মালদহে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² মালদহ |
আগামী ১৬ জুন নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই মালদহের পরবর্তী জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিয়ে জেলা কংগ্রেসে চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু হয়ে গেল। পরবর্তী সভাধিপতি বাছাই করতে আজ, বুধবার বিকেল ৪টায় কোতোয়ালিতে বৈঠক ডেকেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী। জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, “নির্বাচিত সদস্যরা ঠিক করবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কে হবেন। তাঁদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সদস্যরা ঐকমত্যে পৌঁছতে না-পারলে হস্তক্ষেপ করব।” জেলাশাসক বলেন, “১৬ জুন দুপুর ১২টায় সভাধিপতি নির্বাচন হবে।” ১৬ জুন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনের ব্যাপারে মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেন মালদহের জেলাশাসক রাজেশ সিংহ। পূর্বতন সভাধিপতি সাবিনা ইয়াসমিন বিধানসভা নির্বাচনে মালদহের মোথাবাড়ি কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পরে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁকে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে তিনি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় নয়া সভাধিপতি নির্বাচনের জন্য জেলাশাসক ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। পরবর্তী সভাধিপতি পদের দাবিদার হিসাবে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মোস্তাক আলম, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আবদুল মতিন, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ মানজারুল ইসলাম, উজ্জ্বল চৌধুরী-সহ একাধিক নাম উঠে এসেছে। ওই লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন উত্তর ও দক্ষিণ মালদহের সাংসদ কংগ্রেসের মৌসম বেনজির নূর এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরীও। জেলা পরিষদে কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ১৬ জন। তার মধ্যে উত্তর মালদহের ৮ এবং দক্ষিণ মালদহের ৮ জন সদস্য রয়েছেন। মৌসম বেনজির নুরের অনুগামীরা দাবি করেছেন, জেলার ৩ মন্ত্রী দক্ষিণ মালদহের। তাঁই উত্তর মালদহ থেকে সভাধিপতি নির্বাচিত করতে হবে। মালদহ জেলা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৪। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস-তৃণমূল ১৯টি এবং বামেরা ১৫টি আসন দখল করে। কংগ্রেস সদস্য মহম্মদ হেসামুদ্দিনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, এ বার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন সভাধিপতি সাবিনা ইয়াসমিন এবং জেলা পরিষদ সদস্য আরএসপি’র আবদুর রহিম বক্সি। এই অবস্থায় কংগ্রেস-তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ এবং বামেদের ১৪। সংখ্যার বিচারে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট অনায়াসে সভাধিপতির পদ দখল করবে বলে মনে করা হলেও মালদহ জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকেও সভাধিপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হবে বলে জানানো হয়। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জীবন মৈত্র বলেন, “সভাধিপতি নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দেব। ভোটও দেব।” কিন্তু কে হবেন মালদহের পরবর্তী সভাধিপতি? পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে সভাধিপতি পদের দাবিদার ছিলেন মোস্তাক আলম এবং সফিজুদ্দিন। দু’জনের মধ্যে সভাধিপতির পদ নিয়ে রেষারেষি চরম আকার নিলে পূর্বতন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হস্তক্ষেপে সভাধিপতি হন সাবিনা ইয়াসমিন। মোস্তাক আলম জানান, দল যাঁকে মনোনীত করবে তিনি তাঁকেই সমর্থন জানাবেন। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “একসময়ে সভাধিপতি হওয়ার ইচ্ছে ছিল। এখন সেই ইচ্ছে আর নেই। দল যাঁকে মনোনীত করবে তাঁকেই মেনে নেব। ঐক্যমতের ভিত্তিতে সভাধিপতি হবে।” দলের পক্ষ থেকে মনোনীতকেই তাঁরাও সভাধিপতি হিসাবে মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন আবদুল মতিন, মানজারুল ইসলাম এবং উজ্জ্বল চৌধুরীরাও। কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুরও বলেন, “জোর করে কাউকে সভাধিপতি করা হবে না। সদস্যরা তাঁকে নির্বাচিত করবেন।” |
|
|
 |
|
|