আন্দোলন-পাল্টা আন্দোলন
কাজিয়ায় সরগরম স্বাস্থ্য দফতর
ব্লক ও জেলা সদরে আটকে রাখা কর্মীদের অবিলম্বে নিজেদের কাজের জায়গায় পাঠানোর সরকারি নির্দেশ কার্যকর করার দাবিতে আন্দোলনে নামলেন তৃণমূল কর্মী ফেডারেশনের কর্মীরা। পাল্টা আন্দোলনে নেমেছেন কো অর্ডিনেশন কমিটি এবং জয়েন্ট কাউন্সিলের কর্মীরা। আন্দোলন এবং পাল্টা আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবার সরগরম হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার বালুরঘাটে জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে তৃণমূল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে বছরের পর বছর ধরে বালুরঘাট মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে কাজ করে যাওয়া ৮ কর্মীকে অবিলম্বে ফিল্ডে পাঠাতে হবে। ওই কর্মীদের সকলেই বাম স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের নেতা ও কর্মী বলে ফেডারেশনের দাবি। ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আন্দোলনকারীদের সরকারি আদেশ কার্যকর করার ব্যাপারে আশ্বাস দিলে পাল্টা আন্দোলনে নামেন দুই বাম কর্মী সংগঠন। তাঁরা ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “সরকারি আদেশ কার্যকর করা হবে। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” গত ১ জুন রাজ্যের যুগ্ম সচিব জেলায় জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্তাদের চিঠি দিয়ে জেলা সদরে আটকে রাখা চিকিৎসক-সহ সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের কাজের জায়গায় যোগ না-দিলে জুন মাস থেকে বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা বিভিন্ন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জেলা ও মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা ১৭ জন মেডিক্যাল অফিসারের তালিকা তৈরি করে নিজের কাজের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এদিন স্টেট গভর্নমেন্ট তৃণমূল এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের স্বাস্থ্য কমিটির তরফে এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। ফেডারেশনের স্বাস্থ্য ইউনিটের জেলা সভাপতি চিত্তরঞ্জন মোহান্ত অভিযোগ করেন, “বালুরঘাটে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে জয়েন্ট কাউন্সিল এবং কো অর্ডিনেশন কমিটির ৮ জন কর্মী গত ৩০ বছর ধরে চাকরি করছেন। দফতরের ৮ করণিককে নিস্ক্রিয় করে রেখে তাঁরাই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র ঘাঁটাঘাটি করছেন। কোনও কর্মী ওই নেতাদের কথা না-শুনলে কিংবা চাঁদা না-দিলে সার্ভিস বুক নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। অথচ ২০০৮ সালেই স্বাস্থ্য দফতর ওই হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের ব্লকের উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়েন্ট কাউন্সিল এবং কো অর্ডিনেশন কমিটির ওই নেতাদের হস্তক্ষেপে সরকারি ওই নির্দেশ কার্যকর করা যায়নি। অথচ কর্মীর অভাবে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মুখ থুবড়ে পড়েছে। জয়েন্ট কাউন্সিলের জেলা সম্পাদক স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা এপিডেমিক সেলের কর্মী। স্বাস্থ্য দফতর ওই সেল তুলে দেয়নি। তৃণমূল ফেডারেশন না-জেনে অভিযোগ করছে। আমাদের সরানোর ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নেই ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের।” কো অর্ডিনেশনের নন মেডিক্যাল টেকনিক্যাল এমপ্লয়িজয়ের জেলা সম্পাদক মৃণাল চৌধুরী বলেন, “কাজে দক্ষ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদেরই সিএমওএইচের দফতরে রাখা হয়। তবে সরকারি আদেশ কার্যকর করা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই।”
Previous Story Swasth Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.