|
|
|
|
সরব রোগীকল্যাণ সমিতি |
পরিষেবা ফেরাতে আন্দোলন |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² রায়গঞ্জ |
৭৬ জন চিকিৎসক এবং ৪ জন চিকিৎসকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। ফলে আউটডোর থেকে অন্তর্বিভাগ, সর্বত্র পরিষেবা বেহাল। গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ হাসপাতালের আইসিইউ। অর্থাভাবে মাঝপথে থমকে রয়েছে মানসিক ওয়ার্ড তৈরির কাজ। রোগীর পরিবারের লোকজনের জন্য পানীয় জল, শৌচাগার ও বসার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। বন্ধ হয়ে গিয়েছে আই ব্যাঙ্ক। ২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দরকার থাকলেও রয়েছে মাত্র ১৭০টি। পরিকাঠামোর অভাবে প্রসূতি ও ওটিতে পরিষেবা দিতে চিকিৎসকেরা হিমসিম খাচ্ছেন। বেহাল নিকাশি। হাসপাতাল জুড়ে দাপট দালালদের। সন্ধ্যের পরে দুষ্কৃতীদের দাপটে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা। চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। রাতে হাসপাতালে বসছে মদ ও জুয়ার আসর। মঙ্গলবার রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল ঘুরে পরিকাঠামোর অভাবের এই তালিকা তৈরি করলেন রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। এ দিন রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যকরী সদস্য মোহিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে দিনভর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন জেলাশাসক সুনীল দণ্ডপাট, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিধান মিশ্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোক্তার আলি সর্দার, হাসপাতালের সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি-সহ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তারা। মোহিতবাবু বলেন, “হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যার কথা, জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানানো হয়েছে। আমরা আর কিছুদিন দেখব। তার মধ্যে হাসপাতালের পরিষেবা উন্নয়নের ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না-হলে বিধায়ক হিসাবে যা করণীয়, সবই করব।” উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক সুনীল দণ্ডপাট বলেন, “রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা নথিভুক্ত করা হয়েছে। পরিষেবার উন্নয়নের দাবিতে একগুচ্ছ প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত সমস্যা মিটবে।” রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, “মোহিতবাবুর নেতৃত্বে সমিতির সদস্যরা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সমস্ত সমস্যার কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন। আমরা এর আগেও এসব সমস্যার কথা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানিয়েছিলাম। অবিলম্বে হাসপাতালের পরিষেবার উন্নয়ন না-হলে দলের তরফে আন্দোলনে নামা ছাড়া আমাদের কোনও উপায় থাকবে না। জেলাশাসক জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদ পূরণ করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, ওই প্রস্তাবে হাসপাতালের সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করে আইসিইউ চালু ও মানসিক ওয়ার্ড তৈরির কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে কয়েকটি নলকূপ, রোগীদের পরিবারের লোকেদের জন্য শৌচাগার ও বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পূর্ত দফতরকে দিয়ে হাসপাতালের নিকাশি নালার সংস্কার করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সচেতন করতে রোগী কল্যাণ সমিতি নিয়মিত বৈঠক করবে। বিধায়কেরও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। |
|
|
 |
|
|