|
|
|
|
বাস চায় আমবাড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²রাজগঞ্জ |
আমবাড়িতে সরকারি বাস চলাচল ব্যবস্থার দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। কাজ না হলে স্থানীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের তরফে আন্দোলনে নামার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শিলিগুড়ির জলপাইমোড় থেকে ভায়া আমবাড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা পর্যন্ত দু’টি সরকারি বাস চলাচলের ব্যবস্থা ছিল। কিন্ত তিনেক ধরে অজ্ঞাত কারণে বাস দু’টির চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে নিত্য যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা তুষার দত্ত বলেন, “শিলিগুড়ির জলপাইমোড় থেকে আমবাড়ি এবং জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এই রুটটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। বাস দু’টি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়াদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সব স্তরে সমস্যার কথা জানিয়েও ফল মেলেনি। শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।” এই নিয়ে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় ও পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেবকেও তাঁরা স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন। বিধায়ক খগেশ্বরবাবু বলেন, “রাজগঞ্জের গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে বাস যোগাযোগের ব্যবস্থা উন্নত নয়। আমরা নতুন সরকারের কাছে সমস্যার কথা জানাব। রাজগঞ্জে যাতে যাত্রী পরিষেবার উন্নতি করা হয়, সেটা দেখা হবে।” বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি বাস দু’টি তুলে নেওয়ার পর বহু আন্দোলনের পরে এই রুটে মাত্র দু’টি বেসরকারি বাস দেওয়া হয়। সেই বেসরকারি বাস দু’টি বেলাকোবা পর্যন্ত চলে। তা-ও নিয়মিত চলে না বলে অভিযোগ। দু-তিনটি সিটি অটো চললেও তাও সবসময় মেলে না। রবিবার দিন তো কোনও বাস বা সিটি অটোও চলে না। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ি, পানিকৌড়ি, মাঝিয়ালি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার একটি বিরাট সংখ্যক মানুষ শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ইত্যাদি জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। ওই সব বিস্তীর্ণ এলাকার বহু ছেলেমেয়ে আমবাড়ি-ফালাকাটা চিন্তামোহন হাইস্কুল, সাহুডাঙ্গি হাইস্কুল, হরিহর হাইস্কুলে পড়াশোনা করে। ওই সব পড়ুয়াদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চিকিৎসার ব্যাপারে মগরাডাঙ্গিতে রাজগঞ্জ ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে যান লোকজন। জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি শহর ছাড়া আরও বিভিন্ন এলাকা যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে রোজ যাতায়াত করে থাকেন তাঁরা সমস্যায় পড়েন। সমস্যায় পড়েন গ্রামের বহু গরিব মানুষ। যাঁরা দিনমজুরি কাজে শিলিগুড়ি শহরে যান। সব মিলিয়ে সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থার অভাবে প্রত্যেকেই নাকাল হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ভবানন্দ রায় বলেন, “আমাদের এখানে পর্যাপ্ত বাসের অভাবে যাত্রীদের সমস্যায় পড়েন এটা ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে আমরা পঞ্চায়েতের তরফে প্রশাসনে জানিয়েছি।” রাজগঞ্জের বিডিও সুতীর্থ দাস বলেন, “ঠিক কী কারণে সরকারি বাস দু’টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |
|
|
 |
|
|