|
|
|
|
বিতর্কিত জমির ১১ ঘর ছাই |
চাপানউতোর দু’দলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²বেলাকোবা |
একটি জমির দখল নিয়ে বিবাদ ছিলই। ওই জমিতে থাকা ১১টি ঘর আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে রাজগঞ্জ থানার বেলাকোবার স্টেশন কলোনি এলাকায়। সোমবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন পৌঁছে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্বে আনে। ঘটনাস্থলে যান জলপাইগুড়ি সদর সার্কেল ইন্সপেক্টর পিনাকী মজুমদার। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে জেলা পুলিশের তরফে ঘটনাস্থলে র্যাফও পাঠানো হয়। সেখানে যান রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ও। জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, “একটি বিতর্কিত জমির দখল নিয়ে বেলাকোবা স্টেশন কলোনি এলাকার দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গোলমাল চলছিল। ভোটের আগে এলাকার বেশ কিছু লোকজন প্রায় ৬ বিঘা জমি জোর করে দখল করে নিয়ে ঘর তোলে বলে অভিযোগ। এ দিন সাড়ে ৬ নাগাদ কে বা কারা ওই ঘরগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত চলছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।” রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের অভিযোগ, ওই জমির মূল মালিক বেলাকোবা পন্ডিতের বাড়ি এলাকার হাতেম আলি নামে এক ব্যক্তির। স্টেশন কলোনির সুরেন বর্মন ও তাপস দাসরা ওই জমির বর্গাদার ছিল। চাষআবাদ করতেন। একশ্রেণির সিপিএম নেতার মদতে সিপিএমের কিছু লোকজন এবার বিধানসভা ভোটের আগে রাতের অন্ধকারে জমিটি দখল নিয়ে ঘরবাড়ি তোলে। পুলিশে অভিযোগও হয়। আদালতে মামলাও চলছে। মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে সিপিএমের ওই দখলদাররা এদিন নিজেরাই ঘরগুলিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে।” অন্তত ১১ টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১১ টি ঘরে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খগেশ্বরবাবুরা দাবি করেছেন। সিপিএম অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। সিপিএমের রাজগঞ্জ জোনাল কমিটির সম্পাদক সুশীল সোম বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং চড়ানোর চেষ্টা করেছে। প্রায় ২২ টির মতো গরিব পরিবার মিলে ওই জমিটা দখল করেছিল। দখলদারদের মধ্যে তৃণমূলের লোকজনও রয়েছে।” সিপিএমের দাবি, জমিটা ছিল জলপাইগুড়ির রাজপরিবারের। বেলাকোবাতে রাজার প্রায় ৩০০ বিঘের মতো জমি ছিল। বেলাকোবার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য রাজার আমলেই “মঙ্গলপল্লি’ ট্রাস্টের নামে জমিটি দান করা হয়। বহু জমি জবর দখল হয়ে যায়। তার মধ্যে সুরেন বর্মন ও তাপস দাসরা ওই দখল করে চাষবাস করত। একসময়ে জমিটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। খাস জমি বলে মনে করে ওই পরিবারগুলি বসতবাড়ির জন্য জমিটি দখল করে। অভিযোগ অস্বীকার করে সুরেন বর্মন ও তাপস দাসরা বলেন, “ওরা মঙ্গলপল্লি ট্রাস্টের জমি বলে দাবি করলে করলেও তাঁরা কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারছে না। আমাদের নামে জমির বর্গাদার রের্কডের কাগজপত্র রয়েছে। প্রায় ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ওই জমি আমরা ভোগদখল করে আসছি। এবারও আমরা ধান চাষ করেছিলাম। গত ২৯ নভেম্বর ধান কেটে ঘরে তোলার পর ওই দিন রাতের অন্ধকারে সিপিএমের লোকজন জমিটি দখল করে নেয়।” সিপিএমের সব নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। লাভ হয়নি।” |
|
|
 |
|
|